Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

ভারত ধর্মনিরপেক্ষ, কোনও রাষ্ট্রধর্ম নেই, রাষ্ট্রপুঞ্জে বলল নয়াদিল্লি

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ভারতের কোনও রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে নতুন করে এ কথা জানাল ভারত। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) বৈঠকে পাকিস্তান ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছে। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থা খুবই শোচনীয় বলে পাকিস্তানের অভিযোগ।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ১৯:৪০
Share: Save:

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ভারতের কোনও রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জে নতুন করে এ কথা জানাল ভারত। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) বৈঠকে পাকিস্তান ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছে। ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থা খুবই শোচনীয় বলে পাকিস্তানের অভিযোগ। এর জবাবেই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান তথা অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি ইউএনএইচআরসি-তে জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান জাতি, ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে নাগরিকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করে না। ভারতে প্রত্যেক নাগরিকেরই ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জে তিনি জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জ মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ-এর ২৭তম অধিবেশনে পাকিস্তান ভারতের সমালোচনা করেছে। ভারতে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান-সহ সব সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষই হিংসার শিকার বলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিযোগ করেছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাক অভিযোগের জবাব দিয়ে মুকুল রোহতগি ইউএনএইচআরসি-র অধিবেশনে জানিয়েছেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য উপযুক্ত সংস্থান ভারতের সংবিধানে রয়েছে। মুকুল রোহতগির কথায়, ‘‘একটি বহুস্তরীয় গণতন্ত্র হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীন অধিকারকে স্বীকার করি। আমাদের দেশের নাগরিকরা তাঁদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন এবং তাঁরা প্রত্যেক বিষয়েই নিজেদের পছন্দ প্রকাশ করেন।’’

ভারতে সব নাগরিকের স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ মানবাধিকার পরিষদে এ কথা ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধি। —ফাইল চিত্র।

ধর্মীয় কট্টরবাদ এবং অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ নিয়ে দেশের মধ্যেই ইদানীং বিতর্ক তুঙ্গে। গো-রক্ষা কর্মসূচি, গোমাংসে বিধিনিষেধ-সহ বিভিন্ন বিষয় সেই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সংক্রান্ত সেই প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও উঠে আসায়, নিঃসন্দেহে নয়াদিল্লির অস্বস্তি বেড়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল অবশ্য ধর্মীয় রাষ্ট্র পাকিস্তানের সেই প্রশ্নের উপযুক্ত জবাবই দিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতিবেশীদের উপগ্রহ উপহার দিল ভারত

পাকিস্তান অবশ্য শুধু ভারতে সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে থেমে থাকেনি। জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকারের চূড়ান্ত অবমাননা করছে বলেও পাকিস্তানের অভিযোগ। উপত্যকায় পেলেট গানের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমন দাবিও তুলেছে পাকিস্তান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE