Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
USCIRF

মার্কিন রিপোর্টে বিদ্ধ মোদী সরকার

এই রিপোর্টের জেরে তড়িঘড়ি কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে হয়েছে সাউথ ব্লককে। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৫৯
Share: Save:

করোনা-যুদ্ধের আবহে ওষুধ পাঠানোর মতো বিষয় ঘিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নয়াদিল্লির চাপান-উতোর বেধেছিল আগেই। এ বার মার্কিন সরকার নিযুক্ত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)-এর রিপোর্ট ফের অস্বস্তিতে ফেলল নরেন্দ্র মোদীকে। ভারত সরকার সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারে ইন্ধন দিয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে ওই কমিশন। এমনকি ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ রাষ্ট্রগুলির তালিকায় পাকিস্তান, সৌদি আরবের পাশাপাশি ভারতকেও রেখেছে তারা। এই রিপোর্টের জেরে তড়িঘড়ি কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে হয়েছে সাউথ ব্লককে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সংসদে আলোচনার সময়েই ইউএসসিআইআরএফ রিপোর্ট দিয়েছিল, বিলটি দুই কক্ষে পাশ হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক ভাবে ভুল দিকে মোড় নেবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সুপারিশও করেছিল তারা। এ বারের রিপোর্টে কমিশন বলেছে, ২০১৯ সালে ভারত সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ধারাবাহিক ভাবে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নষ্ট করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এবং সংগঠনগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য ট্রাম্প সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন। রয়েছে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে ভিসা বাতিলের মতো প্রস্তাবও।

মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে খোলাখুলি বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র নামে সারা ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৯ সালের মে মাসে বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়ে ফের ভোটে জিতে আসার পরে ভারত সরকার এমন কিছু জাতীয় নীতি নির্ধারণ করেছে, যা গোটা দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে (বিশেষ করে মুসলিমদের) লঙ্ঘিত করেছে। কিছু রাষ্ট্র বাদে সারা বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার লেখচিত্র যেখানে ঊর্ধ্বগামী, সেখানে ভারতে গত বছর থেকে তা দ্রুত নিম্নগামী হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘরে ফেরায় কেন্দ্রের সায়, দায় রাজ্যের

রিপোর্টটির প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘ভারত সম্পর্কে ইউএসসিআইআরএফ-এর বার্ষিক রিপোর্টে যা রয়েছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। এটি পক্ষপাতদুষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারত সম্পর্কে তাদের এ রকম মন্তব্য নতুন নয়। কিন্তু এখন তা যেন অন্য মাত্রা পেয়েছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের আরও বক্তব্য, ‘‘আমরা মনে করি, এই সংস্থাটির বিশেষ কোনও ভাবনা রয়েছে। আমরা বিষয়টি সেই ভাবে বুঝে নিচ্ছি।’’

আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে করোনা রোগীদের উপর ‘সেপসিভ্যাক’ প্রয়োগ শুরু

অন্য বিষয়গুলি:

USCIRF India CAA NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy