২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই শেষ হতে পারে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। ছবি: সংগৃহীত।
অরুণাচল প্রদেশের ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি হচ্ছে সেলা পাস সুড়ঙ্গ। এই টানেলের মাধ্যমে যে কোনও মরসুমে চিনের কাছে থাকা তাওয়াংয়ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র কাছে পৌঁছতে পারবে ভারতীয় সেনা।
বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) সেলা পাস টানেল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই সুড়ঙ্গ তৈরির সঙ্গে যুক্ত নন্দ কিশোর এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শীতকালে তাওয়াং পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বালিপাড়া-চরিদুয়ার রাস্তা ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে সেলা পাসের মাধ্যমে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলও সীমিত হয়ে যায়।
সেলা পাস সুড়ঙ্গটি রাস্তার এক পাশ দিয়ে যাবে এবং এই বৈশাখীকে নুরানংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সেলা সুড়ঙ্গটি সেলা-চরিবেলা রিজ দিয়ে বেঁকে গিয়ে তাওয়াং জেলাকে পশ্চিম কামেং জেলা থেকে আলাদা করেছে।
সুড়ঙ্গ দিয়ে যে কোনও মরসুমে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে বলেও সেনাসূত্রে খবর। টানেলের কাজ শেষ হলে তাওয়াং যাওয়ার দূরত্ব প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার কমে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, তাওয়াংয়ের এলএসি-তে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে এই সুড়ঙ্গ তৈরি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘাত বাধে। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করে পেরেক লাগানো লাঠি হাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। পিটিআই জানিয়েছিল, চিনা সেনারা ১৭ হাজার ফুট উচ্চ একটি চূড়ার শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করেন। একটি ভারতীয় সেনা চৌকিও উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন পিএলএর জওয়ানরা। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাঁদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy