Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Seikh Hasina

যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা, তিস্তা, সীমান্ত-হত্যাও

শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের দেওয়া কম সুদে সহজ শর্তে ঋণের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলিকে চূড়ান্ত করা নিয়ে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৩৫
Share: Save:

যোগাযোগ, বাণিজ্য, জলবণ্টন এবং সীমান্ত নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ হল বুধবার। মঙ্গলবার শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে। এই বিলম্বের কারণ হিসাবে বিদেশ মন্ত্রকে জানাচ্ছে, আজ সকালে উত্তর পূর্বাঞ্চল বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডির সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উত্তর পূর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনার দিক বিবৃতিতে রাখার জন্যই বাড়তি সময় লেগেছে এ বার।

যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের দিক থেকে তিনটি এমন বিষয় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে সরব রয়েছে ঢাকা। ভারত সফরে আসার ঠিক আগে হাসিনা তাঁর সাক্ষাৎকারেও যা জোরালো ভাবে উল্লেখ করেছিলেন। সেগুলি— এক, তিস্তা চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন। দুই, সীমান্তে হত্যার ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা। তিন, রোহিঙ্গা সমস্যায় ভারতের হস্তক্ষেপ। অন্য দিকে ভারত জোর দিয়েছে বিভিন্ন নতুন এবং পুরনো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো, ফেনি নদীর জলবণ্টনের অন্তর্বর্তী চুক্তির দ্রুত সম্পাদন এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তর পূর্বে পণ্য পরিবহণ শুরু করা।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা তাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া থাকা তিস্তার জলবণ্টনের অন্তবর্তী চুক্তি সম্পাদন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। বিষয়টির খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল ২০১১ সালে। দু’দেশের নেতারা তাঁদের অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন নদীর দূষণ, নাব্যতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে কাজ শুরু করতে।’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে দু’দেশের প্রবাহিত নদীগুলির তথ্য বিনিময় এবং অন্তর্বর্তী জলবণ্টন চুক্তির কাজ এ বার গতি পাবে।’ পাশাপাশি ভারতের দাবি, ‘ত্রিপুরার সেচ পরিস্থিতির সঙ্কটের দিকে নজর রেখে ফেনি নদীর জলবণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন করা প্রয়োজন। ভারতের এই দাবিকে বিবেচনার মধ্যে রেখেছে বাংলাদেশ।’

সীমান্ত হত্যার ঘটনা নিয়ে ভারতে আসার আগেই সরব হয়েছিলেন হাসিনা। যৌথ বিবৃতিতেই তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। বলা হচ্ছে, ‘ভারত বাংলাদেশ সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনা করা যে উভয় দেশেরই অগ্রাধিকার, সে কথা স্বীকার করে নিয়ে দুই শীর্ষ নেতা নির্দেশ দিয়েছেন কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ ত্রিপুরা সেক্টর থেকে শুরু করে দ্রুত শেষ করতে হবে। সীমান্ত হত্যার ঘটনা কমেছে এটা সন্তোষজনক বিষয়। তবে একে নামিয়ে শূন্যে পৌঁছনোর প্রশ্নে দু’দেশই একমত হয়েছে। দুদেশের সীমান্তরক্ষীরা যে চোরাচালান, জালনোট, অস্ত্র এবং মাদক পাচার, নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে তাদের প্রয়াস জোরদার করেছে— তার প্রশংসা করা হয়েছে।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের নাম না করে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মৌলবাদের প্রচার ও প্রসারের বিরুদ্ধে ঐকমত্য হয়েছে দুই দেশ।

রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন দাবি— অঞ্চলের সব চেয়ে বড় দেশ হিসাবে মায়নমারের উপর সরাসরি চাপ দিক ভারত। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে মায়নমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা দশ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় এবং মানবিক সাহায্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ভারত। এ ব্যাপারে মায়নমার এবং বাংলাদেশ উভয়কেই সহায়তা করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতই একমাত্র দেশ যে দুটি দেশেরই প্রতিবেশী। শরণার্থীদের সুস্থ এবং পাকাপাকি ভাবে দ্রুত নিজেদের দেশ ফেরার ব্যাপারে ভারত সহায়তা করবে।’

শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের দেওয়া কম সুদে সহজ শর্তে ঋণের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলিকে চূড়ান্ত করা নিয়ে কথা হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঋণের আওতায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন কেনার প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে।বিষয়গুলি নিয়ে কাজ শুরু করতে।’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে দু’দেশের প্রবাহিত নদীগুলির তথ্য বিনিময় এবং অন্তর্বর্তী জলবণ্টন চুক্তির কাজ এ বার গতি পাবে।’ পাশাপাশি ভারতের দাবি, ‘ত্রিপুরার সেচ পরিস্থিতির সঙ্কটের দিকে নজর রেখে ফেনি নদীর জলবণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন করা প্রয়োজন। ভারতের এই দাবিকে বিবেচনার মধ্যে রেখেছে বাংলাদেশ।’

সীমান্ত হত্যার ঘটনা নিয়ে ভারতে আসার আগেই সরব হয়েছিলেন হাসিনা। যৌথ বিবৃতিতেই তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। বলা হচ্ছে, ‘ভারত বাংলাদেশ সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনা করা যে উভয় দেশেরই অগ্রাধিকার, সে কথা স্বীকার করে নিয়ে দুই শীর্ষ নেতা নির্দেশ দিয়েছেন কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ ত্রিপুরা সেক্টর থেকে শুরু করে দ্রুত শেষ করতে হবে। সীমান্ত হত্যার ঘটনা কমেছে এটা সন্তোষজনক বিষয়। তবে একে নামিয়ে শূন্যে পৌঁছনোর প্রশ্নে দু’দেশই একমত হয়েছে। দুদেশের সীমান্তরক্ষীরা যে চোরাচালান, জালনোট, অস্ত্র এবং মাদক পাচার, নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে তাদের প্রয়াস জোরদার করেছে— তার প্রশংসা করা হয়েছে।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের নাম না করে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মৌলবাদের প্রচার ও প্রসারের বিরুদ্ধে ঐকমত্য হয়েছে দুই দেশ।

রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন দাবি— অঞ্চলের সব চেয়ে বড় দেশ হিসাবে মায়নমারের উপর সরাসরি চাপ দিক ভারত। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে মায়নমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা দশ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় এবং মানবিক সাহায্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ভারত। এ ব্যাপারে মায়নমার এবং বাংলাদেশ উভয়কেই সহায়তা করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতই একমাত্র দেশ যে দুটি দেশেরই প্রতিবেশী। শরণার্থীদের সুস্থ এবং পাকাপাকি ভাবে দ্রুত নিজেদের দেশ ফেরার ব্যাপারে ভারত সহায়তা করবে।’

শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের দেওয়া কম সুদে সহজ শর্তে ঋণের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলিকে চূড়ান্ত করা নিয়ে কথা হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঋণের আওতায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন কেনার প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Seikh Hasina India Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy