Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Citizenship Amendment Bill

শিয়া মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, চিঠি শাহকে

বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি।

অমিত শাহকে চিঠি উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের। ছবি: পিটিআই।

অমিত শাহকে চিঠি উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৩১
Share: Save:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। তার মধ্যেই এ বার নয়া দাবি তুলল উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। শুধুমাত্র অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বদলে, পড়শি দেশে নিপীড়িত শিয়া মুসলিমদেরও ওই বিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাল তারা।

বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি। তাতে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান তো বটেই, সিরিয়া, সৌদি আরব এবং কেনিয়া-সহ সমস্ত সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সংখ্যালঘু। সেখানে চূড়ান্ত অমানবিকতার শিকার তাঁরা। প্রতিদিনই কেউ না কেউ খুন হচ্ছেন। এই নৃশংসতা থেকে রক্ষা করতে শিয়া সম্প্রদায়কেও নাগরিক সংশোধনী বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’’

এর আগে যদিও আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিক বার পাকিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘু শিয়া, বালোচ এবং আহমদিয়াদের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে ভারতকে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে টানাপড়েন চলাকালীন এ বছর সেপ্টেম্বরেই তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পারিষদে ইমরান খান সরকারকে একহাত নেয় ভারত। এমনকি ২০১৬-য় স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেও বালুচিস্তান, গিলগিট প্রদেশে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর পাক সেনার অত্যাচারের কথা উঠে আসে। তবে নাগরিক সংশোধনী বিলে সেই সমস্ত মুসলিম সংখ্যালঘুদের কোনও উল্লেখ নেই। বরং ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন যাঁরা, সেইসমস্ত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে তাতে।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলে ধর্মীয় বৈষম্য হচ্ছে না, দাবি অমিতের, দেশভাগ তুলে পাল্টা খোঁচা কংগ্রেসকে​

আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক বলল কংগ্রেস, তুমুল হইচই, এর মধ্যেই অমিতের নাগরিকত্ব বিল পেশ লোকসভায়​

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করতেই বেছে বেছে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে। তবে এ নিয়ে সোমবার সংসদে তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন অমিত শাহ। তিনি যুক্তি দেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে মুসলিমরা নিপীড়নের শিকার হন না। তাই বিলে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে পড়শি দেশ থেকে কোনও মুসলিম যদি ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেন, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE