বোর্ড থেকে মুছে ফেলা হবে উর্দু। —ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডে কোনও স্টেশনের সাইনবোর্ডে আর উর্দু লেখা হবে না। যা রয়েছে তা-ও মুছে ফেলা হবে। তার বদলে জায়গা করে নেবে সংস্কৃত। রেলমন্ত্রক এ বার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে এ বার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্টেশনে হিন্দি, ইংরেজি এবং সংস্কৃতে লেখা বোর্ডই চোখে পড়বে।
রেলের ম্যানুয়াল অনুযায়ী, হিন্দি, ইংরেজি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষাতেই সাইনবোর্ড লেখা উচিত। উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ভাষা যেহেতু সংস্কৃত, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।
কিন্তু এত বছর পর ভাষা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ল কেন? নর্দার্ন রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার জানান, উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ভাষা উর্দু। উত্তরাখণ্ড যেহেতু উত্তরপ্রদেশের অংশ ছিল, তাই এত দিন তা-ই ব্যবহার করা হত। সম্প্রতি এক নেতা ভুল ধরিয়ে দেন। তাই ভুল সংশোধনে করার তোড়জোড় চলছে।’’
আরও পড়ুন: সিএএ: শীতের রাতে প্রতিবাদীদের কম্বল কেড়ে নিল যোগীর পুলিশ
এ ব্যাপারে সমস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেহরাদূন, রুরকি এবং হরিদ্বারের হাত ধরেই এই বদল শুরু হবে বলে খবর। তবে এই কাজ সহজ হবে না বলে মত স্থানীয়দের। কারণ সংস্কৃতে লিখতে গেলে সমস্ত জায়গার নামের পিছনে একটি করে ‘ম’ যুক্ত হবে। সে ক্ষেত্রে দেহরাদূন হয়ে যাবে দেহরাদূনম, হরিদ্বার হয়ে যাবে হরিদ্বারম। এতে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ভারতে বোমা ফেলেছিলেন, তাঁর ছেলে আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন! সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব রাজা মুরাদ
২০১০ সালে সংস্কৃত উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পায়। সেইসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সংস্কৃতকে জনপ্রিয় করে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের দেখাদেখি পরে হিমাচলপ্রদেশও একই পথে হাঁটে। এ বছর সংস্কৃতকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy