বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। — ফাইল চিত্র।
চলতি বর্ষায় হিমাচল প্রদেশে ৫১টি হড়পা বান এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ জন। ২৭ জুন হিমাচলে প্রবেশ করেছে বর্ষা। ওই দিন থেকে হিমাচলে ১৬ অগস্ট পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫১টি মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানের ঘটনায় ৩১ জন প্রাণ হারানোর পাশাপাশি ৩৩ জন এখনও নিখোঁজ। প্রশাসনের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, লাহৌল এবং স্পিতি সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত। সেখানে ২২টি মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানের ঘটনা হয়েছে। এর পর রয়েছে কিন্নর। সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের সংখ্যা ১১। তার পর রয়েছে উনা। সেখানে ছ’বার বিপর্যয় হয়েছে। কুলু এবং মান্ডিতে তিন বার করে বিপর্যয় হয়েছে। সিরমৌরে দু’বার, চাম্বা, শিমলা, হামিরপুর, সোলানে এক বার করে বিপর্যয় হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, বর্ষার সময় বার বার এই বিপর্যয়ের কারণে হিমাচলে সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে ভেঙে গিয়েছে ১২১টি বাড়ি। ২৭ জুন থেকে ১৬ অগস্ট পর্যন্ত ৩৫ বার ধস নেমেছে। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। সব থেকে বেশি ধস নেমেছে মাণ্ডিতে। সেখানে ভারী বৃষ্টির কারণে ন’বার ধস নেমেছে। তার পরেই রয়েছে কিন্নর এবং শিমলা। সেখানে ছ’বার ধস নেমে। চার বার করে ধস নেমেছে লাহৌল, স্পিতি, চম্বায়। সোলানে ধস নেমেছে তিন বার, কুলুতে দু’বার এবং বিলাসপুরে এক বার ধস নেমেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যা পরিসংখ্যান দিচ্ছে, বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি বার বিপর্যয় ঘটেছে হিমাচলে। রবিবার সকালেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। তার জেরে বন্ধ ছিল ছোট-বড় ৯৫টি রাস্তা। হিমাচল প্রদেশ সরকার দাবি করেছে, চলতি বর্ষায় রাজ্যের ১,১৪০ কোটি টাকার সম্পত্তিহানি ঘটেছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সে রাজ্যের পাহাড়ি সড়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy