Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
NPR

ফোনে তথ্য নিলে ২৫ হাজার, জরিমানা হবে নাগরিকের তথ্য ফাঁস করলে

এ বার গড়ে প্রতি কর্মীকে ৭০০-৮০০ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩১
Share: Save:

মোবাইল অ্যাপে জনগণনা এবং এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ করলে বেশি টাকা। কাগজকলমে তা করলে টাকা কমবে। তবে ব্যবহার করতে হবে নিজস্ব মোবাইলই। এনপিআর তথ্য সংগ্রহ না-করলে সেই ভাতা যেমন কমবে, তেমন নাগরিকের তথ্য ফাঁস করলে জরিমানা এবং শাস্তি পেতে হবে তথ্যসংগ্রাহকদের। এ বারও মূলত প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়েই জনগণনার তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার অব ইন্ডিয়া (আরজিসিসিআই)।

পাশাপাশি এ বারের জনগণনায় তথ্য সংগ্রহে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-ও ব্যবহার করা হচ্ছে। যে শিক্ষক-শিক্ষিকা আরজিসিসিআই-এর নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে জনগণনার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব এবং এনপিআর সংক্রান্ত তথ্য সুষ্ঠু ভাবে সংগ্রহ করবেন, তাঁকে ২৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। যাঁরা গোটা কাজটি কাগজে-কলমে করবেন, তাঁরা ভাতা হিসেবে পাবেন ১৮,৫০০ টাকা। তথ্য সংগ্রহের কাজ মূলত মোবাইলে নেওয়া হলে চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুত সঙ্কলন করা সম্ভব হবে। সে কারণে মোবাইলে অ্যাপ ডাউনলোড করা বা সার্ভারে তথ্য পাঠানোর খরচ বাবদ বাড়তি অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-সহ বেশ কিছু রাজ্য নিজেদের রাজ্যে এনপিআর হতে দেবে না বলে জানিয়েছে। আরজিসিসিআই-এর আশা, শেষ পর্যন্ত সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি কোনও রাজ্য এনপিআর করতে রাজি না-হয়, সে ক্ষেত্রে ওই কর্মীদের মোট ভাতা থেকে আড়াই হাজার টাকা কাটা যাবে। কারণ, এনপিআর-এর ২১টি প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহের জন্য আড়াই হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যিনি মোবাইলে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তিনি সর্বাধিক সাড়ে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন।

আরও পড়ুন: নড্ডাকে হেঁচকা টানে আসনে বসালেন অমিত

এ বার গড়ে প্রতি কর্মীকে ৭০০-৮০০ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তবে কোনও নাগরিকের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে পারবেন না কর্মীরা। আরজিসিসিআই কর্তাদের মতে, জনগণনা আইনানুযায়ী, ভুল তথ্য দেওয়া অপরাধ। যা প্রমাণে কোনও নাগরিকের ১ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। তেমনি কোনও নাগরিকের তথ্য ফাঁসে দোষী সব্যাস্ত হলে শিক্ষক-শিক্ষিকার জরিমানা হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সংস্থার এক কর্তার মতে, প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ থাকে। থাকে পারস্পরিক বিশ্বাস। সেটাই তাঁদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহের অন্যতম কারণ।

আরও পড়ুন: দেশি জিনিসই কেনো, মোদীর বার্তা পড়ুয়াদের

১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে জনগণনার প্রথম পর্ব। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওই ছ’মাসের মধ্যে যে-কোনও ৪৫ দিনে জনগণনার প্রথম পর্বের কাজ সারতে হবে কর্মীদের। দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হবে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জনগণনার প্রথম পর্বের সঙ্গেই এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ করে নেওয়া হবে। এ নিয়েই আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের।

অন্য বিষয়গুলি:

NPR Modi Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy