অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী। —ফাইল চিত্র।
আট বছরের খুদে পড়ুয়াকে মারার নিদান দিচ্ছেন শিক্ষিকা। শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা খুদে সহপাঠীরা শিক্ষিকার নির্দেশ মোতাবেক হাসিমুখে বন্ধুকে চড় মেরে যাচ্ছে। মারের চোটে কেঁদে উঠছে শিশুটি। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় এই দৃশ্যই দেখা গিয়েছিল। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। দেশজোড়া বিতর্কের মুখে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী। জানালেন, ছাত্রটি হোমওয়ার্ক করে আসেনি। তাই তাকে ‘শিক্ষা দিতে’ অন্য পড়ুয়াদের মারতে বলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের খুববাপুরের একটি বাড়িতে চলে স্কুলটি। নাম নেহা পাবলিক স্কুল। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের দাবিতে ইতিমধ্যেই উত্তাল নেটদুনিয়া। তিনি নিজে কেন ছাত্রটিকে শিক্ষা দিলেন না, সেই প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃপ্তি। তাঁর কথায়, “আমি প্রতিবন্ধী। উঠতে পারি না। তাই অন্য পড়ুয়াদের বলি ছাত্রটিকে গিয়ে মারতে।” ঘটনাটিকে ‘ছোট বিষয়’ বলেও দাবি করেন তিনি। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে ঘটনার অন্য ব্যাখ্যা করা হচ্ছে— এই অভিযোগে সরব হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
কোনও কোনও মহল থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে, ছাত্রটি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বলেই, তার উপরে এই ‘পীড়ন’ চালানো হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও শুরু হয়েছে। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের ওই ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের প্রশ্ন, এত ঘৃণার চাষ কেন? রাহুল লেখেন, ‘‘ছোট শিশুদের মনে ঘৃণার বিষ ঢোকানো, স্কুলের মতো পবিত্র জায়গাকে ঘৃণার বাজারে পরিণত করা— এক শিক্ষক দেশের জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু করতে পারেন না।”
ভিডিয়োটি ঘিরে নেটদুনিয়া উত্তাল হওয়ার পরেই টুইটার থেকে তা সরানোর জন্য সরকারের একটি অংশ সক্রিয় হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাতের দিকে ভিডিয়োর কথা স্বীকার করে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতরের কর্তা শুভম শুক্ল জানান, ওখানে দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, চাপের মুখে রাতের দিকে ওই শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগী ক্ষমা চান। পুলিশের একটি সূত্রের বক্তব্য, নির্যাতিত বালকটির পরিবার অভিযোগ জানাতে চায় না। এ ক্ষেত্রে কেন জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা মুজফ্ফরনগর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে ব্যবস্থা নেয়নি, সে প্রশ্নও উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy