ঐশ্বর্য রাইয়ের চোখের রহস্য ভাঙলেন মন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
তাঁর নীল চোখে ঢেউ ওঠে অনুরাগীদের হৃদয়ে। কিন্তু বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাইয়ের চোখের সঙ্গে যে সমুদ্রেরও গহীন যোগ রয়েছে, তা জানা গেল গেরুয়া শিবিরের এক নেতার দৌলতে।
মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি নেতা তথা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঐশ্বর্যের সুন্দর চোখের রহস্য কী, তা তিনি জানেন। সেই গোপন কথা গোপনে না রেখে সাতকাহন করে জানিয়েওছেন তিনি। কী ভাবে দেশের মানুষ ঐশ্বর্যের মতোই আকর্ষণীয় চোখের অধিকারী হতে পারেন, প্রকাশ্যেই তার ‘টিপস’ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওই মন্ত্রী!
নাম বিজয়কুমার গাভিট। মহারাষ্ট্রের উপজাতি উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী তিনি। সম্প্রতি নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দুরবারের এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন গাভিট। সেখানেই তিনি ঐশ্বর্যকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন। যা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের ত্বক মসৃণ হয়। তাঁদের চোখেও দেখা যায় দ্যুতি। তাতে কী হয়? কেউ যদি আপনার দিকে তাকান, তবে তিনি আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।’’
বিজয়কুমার মহারাষ্ট্রের বিধায়ক সেই ১৯৯৫ সাল থেকে। বরাবরই বিজেপিতে। বহুবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন । এখন বয়স ৬৮ বছর। তাঁর কন্যা হীনা গাভিটও বিজেপির লোকসভার সাংসদ। জনসভায় মন্ত্রী নিয়মিত মাছ খাওয়ার উপকারিতা বোঝাচ্ছিলেন। উপস্থিত জনতাকে তিনি বলেন, ‘‘ আমি কি আপনাদের ঐশ্বর্য রাইয়ের কথা বলেছি? মেঙ্গালুরুতে অভিনেত্রীর বাড়ি সমুদ্র উপকূলের কাছেই। উনি নিয়মিত মাছ খেতেন। আপনারা কি ঐশ্বর্যের চোখ দেখেছেন। রোজ মাছ খেলে আপনাদেরও চোখ ওঁর মতো হবে।’’
মাছের উপকারিতা ব্যাখ্যা করে এর পর বিজেপির মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মাছের শরীরে তেল থাকে। তাই মাছ খেলে ত্বকও হয় মসৃণ।’’ বিধায়কের এই রূপ চর্চার টিপস ভিডিয়োবাহিত হয়ে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এনসিপি বিধায়ক অমল মিটকারি বলেছেন, ‘‘মন্ত্রী এই সব আলটপকা মন্তব্য না করে বরং নিজের দফতরের কাজ সামলান।’’ অন্য দিকে, গাভিটের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপিরই এক বিধায়ক নীতীশ রানে বলেছেন, ‘‘আমি রোজ মাছ খাই। তা হলে তো আমার চোখও ঐশ্বর্যের মতো হওয়া উচিত ছিল! আমি গাভিট সাহেবকে জিজ্ঞাসা করব, এ ব্যাপারে কোনও গবেষণা রয়েছে কি না।’’
তবে বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্য শুনে বাঙালিদের একাংশের প্রশ্ন, তাঁরাও তো রোজই মাছ ভাত খান। তবে কি বাঙালিদের চোখও ঐশ্বর্যের মতো সুন্দর? গাভিট বা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে আর কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy