ভিডিয়ো কনফারেন্সে স্বাধীন বালুচিস্তান আন্দোলনের সভাপতি হিরবায়ার মারি। ছবি: ফেসবুক
সতীপীঠ মরুতীর্থ হিংলাজ পাক সেনাদের কবলে থাকায় শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। কামাখ্যার শহরের লোকেদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে এই কথা জানালেন স্বাধীন বালুচিস্তান আন্দোলনের সভাপতি হিরবায়ার মারি। বালোচ জাতীয়তাবাদীরা অধিকাংশই মুসলিম হলেও হিংলাজের গুরুত্ব তাঁদের অজানা নয়।
বালুচিস্তানের লাসবেলায় মাকরান উপকূলের কাছে গিরিখাতে থাকা হিংলাজে সতীর সিঁদুর বা হিংগুল মাখা মাথা পড়েছিল বলে কথিত আছে। তাই হিন্দুদের কাছে হিংলাজ পীঠ খুবই পবিত্র। কামাখ্যায় পড়েছিল সতীর যোনি। কামাখ্যার সঙ্গে হিঙ্গোল নদীর পাড়ে থাকা হিংলাজ মাতার মন্দিরের উদাহরণ টেনে মারি বলেন, ‘‘আমরা ওই মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখতে চাইলেও পাক সেনার অধিকারে থাকা মন্দিরের অবস্থা শোচনীয়। সতী বা ভৈরবের মন্দিরের কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই।’’
মারির কথার ভিত্তিতে প্যাট্রিয়টিক পিপলস ফ্রন্স অসম (পিপিএফএ) আজ দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবিলম্বে হিংলাজ মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিন। ভারতের তীর্থযাত্রীদের জন্য হিংলাজ যাত্রার রাস্তা খুলে দিতে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হোক।
গুয়াহাটির সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মারি বালুচিস্তানের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় সাহায্যের আবেদন রাখেন ভারতের কাছে। অসমের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান, অবৈধ পাক দখলদারি থেকে বালুচিস্তানকে স্বাধীন করতে সাত দশক ধরে লড়াই চলছে। এখন ভারতের দিক থেকে সক্রিয় সহযোগিতার সময় এসেছে। তিনি কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দু’মুখো নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি নিরীহ মুসলিমের হত্যার জন্য দায়ী। গত এক দশকে বিশ হাজারের বেশি বালোচ নিখোঁজ হয়েছেন। পাক সেনারা নারী ও শিশুদেরও ছাড়েনি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানের উপরে ভারতের দাবি ন্যায্য বলে মনে করেন মারি।
বালুচিস্তান প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ১৯৪৮ সালে কালাত প্রদেশের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাধীন বালুচিস্তানকে দখল করে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু গোটা বালুচিস্তান কখনওই পাক শাসনে আসতে চায়নি। এত দিনেও সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের কোনও উন্নতিই হয়নি। উল্টে সেখানকার গ্যাস, কয়লা, সোনা, তামা-সহ সব খনিজ লুট করছে পাকিস্তান। মারি বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় বালুচিস্তান নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। এখন আমাদের সাহায্য করার সুযোগ এসেছে। বালুচিস্তানকে ভারত বন্ধু হিসেবে পেতে পারে। আপাতত নানা দেশে আমরা ভারত-বালোচ মৈত্রী মঞ্চ গড়ে তুলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy