প্রতীকী ছবি।
হিজাব বিতর্ক সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া এবং শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকবিধি চালুর দাবিতে ওই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারী পক্ষের তরফে মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আইনজীবী অশ্বিনীর সেই আবেদন বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত খারিজ করেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। কর্নাটকের সীমানা পেরিয়ে হিজাব বিতর্ক ঢুকে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতেও। হিজাব নিষেধাজ্ঞার পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক মামলা দায়ের হয় আদালতে। তার প্রেক্ষিতে কর্নাটক হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, ইসলামের ধর্মীয় রীতি মেনে হিজাব পরা মুসলিম মহিলাদের জন্য অপরিহার্য নয় এবং তা ধর্মীয় অনুশীলনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের মধ্যেও পড়ে না। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ পরা চলবে না বলেও ‘অন্তর্বর্তী নির্দেশে’ জানায় কর্নাটক হাই কোর্ট।
আদালতের সেই পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েক জন মুসলিম ছাত্রী। মামলাকারীরা প্রশ্ন তোলেন, অন্যের ক্ষতি না করে কোনও পড়ুয়া হিজাব পরলে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না। সেই পড়ুয়া হিজাব পরাকে তাঁর ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ বলে মনে করে, তাতেই বা সমস্যা কোথায়? প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া পোশাকবিধির কারণে এক জন নারীর মর্যাদা এবং শিক্ষার অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারী পড়ুয়ারা। সেই মামলাটিও প্রধান বিচারপতি রমণ বেঞ্চে বিচারাধীন। মুসলিম পক্ষের তরফে ওই মামলার জরুরি ভিত্তিক শুনানির আবেদন জানানো হলেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy