২০১৯ সালে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় শ্রদ্ধা-আফতাবের। ফাইল চিত্র।
তাঁকে খুন করতে পারেন আফতাব, দু’বছর আগেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর। তদন্তে নেমে সেই অভিযোগপত্র দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাসাই থানায় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর ভাসাই থানা কী পদক্ষেপ করেছে, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রে বলছে, বছর দুয়েক আগে করা অভিযোগপত্রে শ্রদ্ধা তাঁর খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, আফতাব তাঁকে ছ’মাস ধরে মারধর করছেন। ব্ল্যাকমেল করছেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে কেটে টুকরো করে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন।
দিল্লি পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আফতাবের উগ্র আচরণ সম্পর্কেও শ্রদ্ধার পরিবার অবহিত ছিল। শুধু তাঁর পরিবারই নয়, মারধরে আহত হওয়ার একটি ছবি বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটনা ঘটেছে তা উল্লেখ করেছিলেন শ্রদ্ধা। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে কথোপকথনেও পুলিশের কাছে যাওয়ার বিষয়টি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৯ সালে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় আফতাব-শ্রদ্ধার। ২০২০ সালে শ্রদ্ধার অভিযোগপত্রে মারধর, হুমকি, খুনের আশঙ্কার উল্লেখ থাকলেও, তখনও তাঁদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই আফতাব খুনের কথা স্বীকার করেছেন। যদিও শ্রদ্ধার দেহাংশ এবং কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ২০টি দল, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আফতাব খুনের কথা স্বীকার করলেও, তিনিই যে খুনি এখনও সেই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy