অখিলেশ যাদব।—ছবি পিটিআই।
শুধু হাথরস-ভিত্তিক আন্দোলন নয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘দু’দিনের ফুটেজ’ খাওয়াও নয়। নবরাত্রির পরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা এবং ব্লকভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদী ধর্না প্রদর্শন, জনসংযোগ, বুথ কমিটির পুনর্বিন্যাস শুরু করবেন অখিলেশ সিংহ যাদব। এসপি সূত্রে এ খবর জনা গিয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের বক্তব্য, হাথরস কাণ্ডের পুরো সময়টাই অখিলেশ ছিলেন বিদেশে। আগামিকাল তাঁর দেশে ফেরার কথা।
হাথরস নিয়ে সম্প্রতি চূড়ান্ত সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল সাংসদেরাও ওই গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর পাশাপাশি এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবের ধর্নাস্থলে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল রাজনৈতিক শিবিরে।
আজ দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, মুলায়ম-পুত্র বিদেশ থেকেই বিষয়টির উপর নজর রেখেছিলেন এবং নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিদিনই এসপি-র কিছু কর্মী ও নেতা ধর্না দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ভোটের দিকে তাকিয়ে হাথরস-কেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা রাজ্যের ‘জঙ্গলরাজত্ব’-কেই সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন অখিলেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত: দোরাইস্বামী
দলের সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দের কথায়, “যোগী আদিত্যনাথ গোটা রাজ্যে জঙ্গলরাজ চালাচ্ছেন। যেখানে বিরোধিতা হচ্ছে উনি গুলি ঠুকে দেওয়ার রাজনীতি করছেন। বিনা ওয়ারেন্টে যে কারও বাড়িতে ঝুকে তল্লাশি চালাচ্ছে রাজ্যের পুলিশ। আমরা প্রতিটি ব্লকে গিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।’’ এসপি সূত্রের বক্তব্য, আরএসএস-এর ব্লকভিত্তিক যে সংগঠন তার সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিটি পরিবারে গিয়ে কথা বলতে হবে। উপর উপর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিদ্রোহ দেখিয়ে কিছু হবে না।
হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কংগ্রেস কর্মীদের বাধা পুলিশের। সোমবার গুরুগ্রামে। পিটিআই
কংগ্রেস বা মায়াবতী, এই দুই পক্ষের সঙ্গেই জোট গড়ে ঠকতে হয়েছে বলেই মনে করছেন এসপি নেতৃত্ব। তাঁদের হিসেব, এসপি-র ভোট জোটসঙ্গীর কাছে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার উল্টোটা ঘটেনি। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তাই একলাই লড়বে অখিলেশ, মুলায়মের দল।
আরও পড়ুন: রাহুলকে আক্রমণ বিজেপি বিধায়কের
এসপি-র এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতার কথায়, “রাহুল প্রিয়ঙ্কা দিল্লি থেকে এসে দু’দিন হাওয়া গরম করতে পারেন। দিল্লি উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে কিছু সমর্থকও জুটিয়ে আনতে পারেন। কিন্তু ব্লকভিত্তিক সংগঠন বলতে কংগ্রেসের আর কিছু নেই উত্তরপ্রদেশে। মায়াবতী তো স্পষ্টতই সিবিআই-এর ভয়ে চুপসে গিয়েছেন। সুতরাং ভোটে আসল লড়াই হবে বিজেপি-র সঙ্গে এসপি-র।’’
আরও পড়ুন: যোগীর ইস্তফা চেয়ে সত্যাগ্রহ আগরতলায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy