Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Robert Vadra

রবার্ট ‘ক্লিন চিট’ পাননি, হরিয়ানা সরকারের দাবি

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের আপ্ত সহায়ক জওহর যাদব জানিয়েছেন, কংগ্রেস মিথ্যে রটাচ্ছে। সরকারের তরফে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার স্বামী রবার্টকে এখনও পর্যন্ত কোনও ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হয়নি।

Robert Vadra.

রবার্ট বঢরা। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৯
Share: Save:

রবার্ট বঢরা-ডিএলএফ জমি চুক্তির ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম ঘটেনি বলে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে বুধবার জানিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। সেই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে রবার্ট জানিয়েছেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে কতটা হেনস্থা করা হয়েছে। এ বার রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাল হরিয়ানার বিজেপি সরকার।

আজ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের আপ্ত সহায়ক জওহর যাদব জানিয়েছেন, কংগ্রেস মিথ্যে রটাচ্ছে। সরকারের তরফে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার স্বামী রবার্টকে এখনও পর্যন্ত কোনও ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হয়নি। তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে তবেই এর ফলাফল বলা সম্ভব। যাদবের কথায়, “এই দুর্নীতিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওপি চৌটালার কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা কখনওই বলিনি যে, কেলেঙ্কারি হয়নি।”

বুধবার হরিয়ানা সরকারের তরফে যে হলফনামা হাই কোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেখানে অবশ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্কাইলাইট হসপিটালিটি ডিএলএফ ইউনিভার্সাল লিমিটেডকে সাড়ে তিন একর জমি বিক্রি করেছিল। ওই চুক্তি সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন তদন্ত করে দেখা হয়েছে। ওই লেনদেনে কোনও অনিয়ম ঘটেনি।

প্রসঙ্গত স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামে সংস্থটির কর্ণধার রবার্ট বঢরা। ২০১৮ সালে রবার্টের পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিংহ হুডা এবং ডিএলএফের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে এফআইআর করা হয়। রাজনীতির আঙিনাতেও রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই মামলায় তাঁকে কী রকম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন রবার্ট। তাঁর অভিযোগ, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর অফিসে ঢুকে দেওয়ালও ভেঙে দেখেছিল, সেখানে কিছু লুকিয়ে রাখা আছে কি না। দিনের পর দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। শতাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য অবৈধ ভাবে কর দাবি করা হয়েছে। ২০ হাজার নথি জমা নেওয়ার পরেও কর সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে। রবার্টের দাবি, সমস্ত সত্য জানা সত্ত্বেও তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করে গিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে ভুয়ো অভিযোগ বয়ে বেড়াতে হয়েছে বলেও জানান রবার্ট। এর ফলে কাজের জগতে তাঁর বহু যোগাযোগ নষ্ট হয়েছে। রবার্টের মন্তব্য, “আমাকে যা সইতে হয়েছে, তা যেন আর কারও সঙ্গে না হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Robert Vadra Haryana Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE