Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

চাপের মুখে মোদীর ভরসা ধর্মগুরুরাও

নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ জানানোর আগে পর্যন্ত বারবার গিয়ে শিলান্যাস এবং প্রকল্প ঘোষণার ফোয়ারা তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

গুজরাত নির্বাচনের মুখে পাতিদার গোষ্ঠী এবং অনগ্রসররা যে ভাবে দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি তাতে শঙ্কিত। গত দু’দশকে এ রাজ্যে এমন সঙ্কটে কখনও পড়েনি নরেন্দ্র মোদীর দল। দলীয় এক সূত্রের বক্তব্য, পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই বিভিন্ন ধর্মগুরু এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীকে মাঠে নামানোর কৌশল নিয়েছেন তাঁরা।

নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ জানানোর আগে পর্যন্ত বারবার গিয়ে শিলান্যাস এবং প্রকল্প ঘোষণার ফোয়ারা তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু নির্ঘণ্ট ঘোষণার ঠিক পরেই বদলে গিয়েছে কৌশল। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন গাঁধীনগরে অক্ষরধাম মন্দিরে। বিজেপি নেতৃত্ব যোগাযোগ শুরু করেছেন, ধর্মগুরু রমেশ ওঝা এবং মুরারী বাপুর সঙ্গে।

রাজনীতির লোকজন বলছেন, অক্ষরধাম মন্দির যাঁদের, সেই স্বামী নারায়ণ গোষ্ঠীর প্রবল প্রভাব রয়েছে পাতিদারদের উপর। দেশে এবং বিদেশে এই সামাজিক আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছেন যাঁরা পাতিদারভুক্ত। আবার অন্য দিকে ওবিসি-র মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে রমেশ ওঝা মুরারী বাপুদের। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এঁদের সবার সঙ্গেই আপৎকালীন ভিত্তিতে ‘আধ্যাত্মিক দৌত্য’ চালাচ্ছেন গুজরাত বিজেপির কিছু বাছাই করা নেতা।

স্বামীনাথন ট্রাস্ট-এর তরফে বলা হচ্ছে, ‘এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পাতিদার। তাই পাতিদারদের মধ্যে এর প্রভাবও বেশি।’ গুজরাত বিজেপির ফেসবুক পেজ-এ স্বামী নারায়ণ ছাপ্পাইয়া মহোৎসবের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। যাঁর প্রধান ধর্মগুরু এক জন গুজরাতি। সম্প্রতি ওবিসিভুক্ত ধর্মগুরু মুরারী বাপুও জানিয়েছেন, ‘আমার কোনও রাজনৈতিক পক্ষপাত বা উৎসাহ নেই। কিন্তু একটি কথা আমার ভক্তদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে চাই। সেটা হল দেশভক্তির আবেগে মোদীর ভূমিকা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।’’ নির্বাচনের মুখে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতাদের একাংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE