আটক হয়েছেন আম আদমি পার্টির গুজরাত প্রধান গোপাল ইটালিয়া। —ফাইল ছবি।
একটি ভিডিয়োতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কুকথার অভিযোগ। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির গুজরাত প্রধান গোপাল ইটালিয়া। সেখান থেকেই আটক তিনি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। ভোটের আগে গুজরাতে তাদের প্রভাব বাড়ছে বলে দাবি আপের। এই ঘটনাকে তারই ফল হিসাবে দেখছে কেজরীওয়ালের দল।
আপ নেতাদের দাবি, সে কারণেই বিজেপি শাসিত গুজরাতে চলছে এই ধরপাকড়। সামাজিক মাধ্যমে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। কেজরীর প্রশ্ন, গোটা বিজেপি কেন গোপাল ইটালিয়ার পিছনে? গুজরাত ভোটের আগে আবারও সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে ২০১৯ সালের একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘খারাপ লোক’ (নিচ আদমি) বলে মন্তব্য করেছেন গোপাল। সেই নিয়েই গোপালকে সমন পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকালে কমিশনের দফতরে হাজিরা দেন গোপাল। সেখানে বসেই টুইটারে দাবি করেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা তাঁকে হাজতে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। এই পোস্টের কিছু ক্ষণের মধ্যেই গোপালকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোপালের হাজিরা প্রসঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা বলেন, ‘‘তিনি সমন পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন, অথচ জবাব তৈরি ছিল তাঁর। তিনি দাবি করেছেন, ওই বিতর্কিত ভিডিয়োতে ছিলেন না। আবার টুইট করার কথা স্বীকার করেছেন।’’ তার আগে রেখা টুইটারে অভিযোগ করেন, আপ কর্মীরা তাঁর দফতরের বাইরে হইচই করছেন। টুইটারে সেই ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশকে ট্যাগ করেন।
কিছুক্ষণ পরেই গোপাল টুইটারে লেখেন, ‘‘জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান আমায় জেলে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন। পতিদারদের আর কী-ই বা করতে পারে মোদী সরকার! বিজেপি আসলে পতিদারদের ঘৃণা করে। আমি সর্দার বল্লভভাই পটেলের উত্তরাধিকারী। আমি তোমাদের জেলকে ভয় পাই না। আমায় জেলে পাঠাও। পুলিশও ডাকা হয়েছে। আমায় হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’
গোপালের এই টুইট ফের পোস্ট করে কেজরীওয়াল লেখেন, ‘‘গোটা বিজেপি কেন গোপাল ইটালিয়ার পিছনে?’’ মণীশ সিসৌদিয়া টুইটারে জানিয়েছেন, গোপালকে আটক করা হয়েছে, কারণ ওঁর দল আপ জানে কী ভাবে স্কুল তৈরি করতে হয়। বিজেপি জানে না কী ভাবে স্কুল তৈরি করে লোকজনকে শিক্ষা দিতে হয়।
সামনেই গুজরাতে ভোট। মোদী-শাহের গড় গুজরাতে ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে কেজরীর দল। সেই নিয়ে বার বার দুই দলের নেতা-কর্মীরা বাগ্যুদ্ধে জড়াচ্ছেন। সে রাজ্যে প্রচারে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কেজরীওয়ালও। বিজেপির বিরুদ্ধে গুজরাতে শিক্ষার বেহাল দশাকেই হাতিয়ার করেছে আপ। গোপাল আটক হওয়ার পর সেই টানাপোড়েনই বাড়ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy