প্রতীকী ছবি।
সাধারণত বিয়ের জন্য কোনও সম্বন্ধ দেখতে গেলে পাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোথায় কাজ করেন, কত বেতন ইত্যাদি। সম্বন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রে যেগুলি খুবই সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু কখনও শুনেছেন, বিয়ে করার জন্য পাত্রের অভিবাসী ভারতীয় (এনআরআই) হওয়া প্রয়োজন? আমেরিকা কিংবা কানাডাবাসী হলে বা পাত্রের কোনও আত্মীয় এনআরআই হলেই বিয়ের জন্য পরীক্ষায় পাশ!
যদি পাত্রের এমন কোনও বৈশিষ্ট্য না থাকে, তা হলে বিয়ে নৈব নৈব চ। পাত্রী জোটানোও মুশকিল হয়ে পড়বে। গুজরাতের পাতিদার সমাজে রমরমিয়ে চলছে এই রেওয়াজ। যার জেরে বিয়ের উপযুক্ত মেয়েরা যেমন পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না, তেমনই অবস্থা ছেলেদেরও।
গাঁধীনগর এবং মেহসেনা জেলার ৪২টি গ্রামে পাতিদার সম্প্রদায়ের বাস। এখানকার মহিলারা এনআরআই ছাড়া বিয়ে করতে নারাজ। শুধু তাই নয়, পাত্র যদি আমেরিকা বা কানাডায় থাকেন, পাত্রীকে সেখানে বিয়ে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘পণ’ও নাকি দিতে হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ সেই টাকা দিতে হচ্ছে পাত্রীর পরিবারকে। সেই টাকার পরিমাণ ১৫-৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে।
ডিংগুচা গ্রামের পাতিদার সম্প্রদায়ের ভাবিন পটেল এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের জাতিতে যদি কোনও ছেলে আমেরিকায় না গিয়ে থাকে বা তাঁর কোনও আত্মীয় যদি বিদেশে না থাকেন, তা হলে তাঁর পক্ষে বিয়ের পাত্রী পাওয়া খুবই মুশকিল। আমাদের জাতির বহু পুরুষ এ কারণে অবিবাহিত থেকে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মরিয়া হয়ে বেআইনি ভাবে আমেরিকায় যাচ্ছেন।”
শুধু তাই নয়, ‘৪২ গাম পাতিদার সমাজ’-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, বিদেশে বসবাসকারী পাতিদার পাত্রের অভিভাবকারও স্বজাতিতে বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া। ফলে আমেরিকা বা কানাডায় রয়েছেন এমন পাত্রীই খুঁজছেন তাঁরা। পাত্রী যদি আবার এনআরআই হন, তা হলে ‘পণ’ দিয়ে পাত্রীকে বিয়ে করতে হবে সেই এনআরআই পাত্রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy