বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাত্রীপক্ষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে বিয়ের দিনই চম্পট দিল বর। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পাত্রীর পরিবার।
পাত্রী স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ারে। তাঁর দাবি, খবরের কাগজে ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দেখে বছর তিনেক আগে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুমন মজুমদার নামে এক যুবক। তিনি নিজেকে রায়গঞ্জের একটি কলেজের অধ্যাপক বলে পরিচয় দেন। আরও জানান, তাঁর বাড়ি মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লিতে। পাত্রীর অভিযোগ, তিনি বার বার বিয়ের কথা বললেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুমন। অথচ বিয়ের কথা বলে সুমন তাঁদের থেকে বিভিন্ন সময়ে ছয় লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওই তরুণীর।
তরুণীর চাপে শেষ পর্যন্ত ২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার মালদহে বিয়ে করার আশ্বাস দেন সুমন। নির্দিষ্ট দিনে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে মালদহে যান ওই তরুণী। কিন্তু তাঁর দাবি, বিয়ের দিন সকালে এক বার ফোন ধরেন সুমন। তার পর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। শেষ পর্যন্ত সুমনের ছবি নিয়ে সর্বমঙ্গলাপল্লিতে হাজির হন পাত্রী। কিন্তু তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পর তাঁরা ইংরেজবাজার থানায় সুমনের ছবি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
পাত্রীর কথায়, ‘‘কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে ওরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফোনে ওঁর বাবাও কথা বলেন। তবে সুমন কোনও দিন নিজের ঠিকানা দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ও মালদহে বিয়ে করবে বলেছিল। রায়গঞ্জের কোন কলেজে চাকরি করে তা-ও কোনও দিন বলেননি। এখানে এসে থেকে ওঁকে ফোনে পাচ্ছি না। আমি জানতে চাই ওর পরিচয় কী? তাই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেছি।’’
পাত্রীর বাবা প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে ওরা যোগাযোগ করেছিল। মেয়ে পছন্দ করার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এর পর ওরা থেকে বিয়ের খরচের অজুহাত দেখিয়ে ধাপে ধাপে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেয়। নিজেকে রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যাপক হিসাবে পরিচয় দিত ছেলেটি। বার বার বলা সত্ত্বেও আমাদের বাড়িতে ছেলে কোনও দিনই যায়নি। তবে মেয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy