Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Nitish Kumar

Bihar: বিহারের সব মন্দির নথিভুক্ত করতে হবে দু’সপ্তাহে, নির্দেশ নীতীশ সরকারের

বিহার সরকার জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের ‘হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্ট আইন’ অনযায়ী মন্দির, মঠ এবং ধর্মীয় ট্রাস্ট, ধর্মশালা নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ ১২:২২
Share: Save:

আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিহারের সবগুলি মন্দির, মঠ এবং ধর্মীয় ট্রাস্টের সম্পত্তি বাধ্যতামূলক ভাবে নথিভুক্ত করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার। রাজ্যের ৩৮টি জেলার জেলাশাসকদের উদ্দেশে এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সবক’টি মন্দির, মঠ এবং ধর্মীয় ট্রাস্টের সম্পত্তি বিহার ‘রাজ্য ধর্মীয় ট্রাস্ট কাউন্সিল’ (বিএসআরটিসি)-এ নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিহারের আইনমন্ত্রী প্রমোদ কুমার শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘কোনও মন্দির এবং মঠ যদি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিএসআরটিসি-তে নাম নথিভুক্তিকরণে ব্যর্থ হয় তবে রাজ্য সরকার ‘বিকল্প আইনি পথ’ খুঁজবে।’’

প্রমোদ জানান, ১৯৫০ সালের ‘হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্ট আইন’ অনযায়ী মন্দির, মঠ এবং ধর্মীয় ট্রাস্ট, ধর্মশালা নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই আইন অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সম্পত্তি রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে বিএসআরটিসি-র ওয়েবসাইটে সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি একটি সরকারি রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিহারে অনথিভুক্ত ২,৫১২টি মন্দির, মঠ, ধর্মীয় ট্রাস্ট এবং ধর্মশালাগুলির মালিকানাধীন জমির পরিমাণ প্রায় ৪,৩২২ একর! অন্য দিকে, নথিভুক্ত হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির হাতে রয়েছে প্রায় ১৮,৪৫৬ একর জমি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE