জেল থেকে বেরিয়েই ফের স্বমূর্তিতে আম্মা। জামিনে মুক্তি পেয়ে গত কালই চেন্নাই ফিরেছেন। আজ সমর্থকদের আশ্বাস দিলেন, জীবনে খারাপ সময় ঢের দেখেছেন, ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন। এ বারও ঠিক তাই হবে। সঙ্গে এ-ও জানালেন, জনগণের সেবা করতেই রাজনীতিতে এসেছেন তিনি। আজীবন সেটাই করে যাবেন। বলেন, “তামিলনাড়ুর সমস্ত মানুষকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ। আপনাদের ভালবাসা এবং আন্তরিক সমর্থনের কারণেই অতীতের নানা খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন বরাবরই আগুনের সমুদ্র। কথা দিচ্ছি, এ বারও সাঁতরেই ফিরে আসব।”
এডিএমকে দলের প্রতিষ্ঠাতা শুধু নন, এম জি রামচন্দ্রনকে আজও নিজের রাজনৈতিক গুরু বলেই মানেন জয়ললিতা। কর্মী-সমর্থকদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিতে গিয়ে আজ তাঁকেও স্মরণ করেন জয়া।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৪ বছর কারাবাসের সাজা ঘোষণা হয় জয়ললিতার। জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগে আম্মা ২১ দিন কাটিয়েও ফেলেছেন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে। এডিএমকে-র দাবি, ২৭ সেপ্টেম্বর আম্মার সাজা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ১৯৩ জন কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। ১৩৯ জন মারা গিয়েছেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। বাকিরা বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন জয়া। আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন সমর্থকের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদানের বন্দোবস্তও করেন। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তামিলনাড়ুবাসীদের আজ বিশেষ অনুরোধ করেন এডিএমকে সুপ্রিমো।
অন্য দিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আজই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। চিঠিতে জয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তাঁর জামিনে মুক্তি পাওয়া নিয়ে খুশিও প্রকাশ করেছেন তিনি। নেতাদের একাংশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিষয়টিকে। কারণ তামিলনাড়ুতে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে রজনীকান্ত বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে এখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy