অন্তর্বাসে ধাতব হুক থাকায় মেটাল ডিটেক্টরে ‘বিপ’ শব্দ হচ্ছিল। সে জন্য রবিবার কেরলের কোল্লাম জেলায় ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) দিতে যাওয়া ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসার আগে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এক ছাত্রীর বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হলে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। রাজ্য মহিলা কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) দিকে আঙুল তুলে সোমবার টুইটে লিখেছেন, ‘‘এজেন্সির দিক থেকে এটা বিরাট বড় গাফিলতি। চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিন্দু। যে সংস্থাকে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তিনি।

মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা অন্য ছাত্র ও পুরুষ পরীক্ষকদের সামনে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে স্টোর রুমে রাখতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, আপত্তি করায় তাঁর মেয়েকে বলা হয়েছিল, ‘‘কোনটা তোমার কাছে বড়? অন্তর্বাস না পরীক্ষা?’’ সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে ক্লাস এইট থেকে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এর পরে ঠিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি।’’ ছাত্রীদের প্রায় নব্বই শতাংশ এমন হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। টাকার ব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, জুতোর ব্যাপারে এনটিএ-র নির্দেশিকা থাকলেও অন্তর্বাস বা হুকের ব্যাপারে কিছু উল্লেখ নেই বলে জানান অভিভাবকেরা।