ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি পঞ্জাবি উপসনাগৃহ বা গুরুদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। ছবি : টুইটার থেকে।
গালে ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকা ছিল তরুণীর। সে ভাবেই মাথায় কাপড় জড়িয়ে তিনি ঢুকছিলেন অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢুকতে পারলেন না। তরুণীকে বাধা দিয়ে বলা হল, ওই পতাকার ছবি মুছলে তবেই মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাবেন। না হলে নয়। গোটা ঘটনাই রেকর্ড হয়েছে একটি ভিডিয়োয়। তাতে দেখা যাচ্ছে মাথায় হলুদ পাগড়ি পরিহিত এক ব্যক্তি মেয়েটির সঙ্গে থাকা যুবককে বলছেন, ‘‘এটা ভারত নয়, পঞ্জাব। ওই পতাকা গালে নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না!’’
ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছে দেশ।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি পঞ্জাবি উপসনাগৃহ বা গুরুদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। তাঁর গালে জাতীয় পতাকা আঁকা। মাথায় হলুদ ফেট্টি। গুরুদ্বারে ঢুকতে গেলে যে ধরনের কাপড়ে মাথা ঢাকা দিতে হয় তেমনই পঞ্জাবের ধর্মীয় প্রতীক দেওয়া হলুদ কাপড়ে ঢাকা তরুণীর চুল। কিন্তু গুরুদ্বারের দরজা পেরোনোর আগেই তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান এক হলুদ পাগড়ি পরা যুবক। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে মুখ ধুয়ে আসতে হবে।’’
জবাবে মেয়েটির সঙ্গে থাকা যুবক প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন, এটা কি ভারত নয়?’’
হলুদ পাগড়ি পরা যুবক— এটা পঞ্জাব।
মেয়েটির সঙ্গী— এটা ভারত নয়!
যুবক— না।
মেয়েটির সঙ্গী মেয়েটিকে বলেন— রেকর্ড করো পুরোটা।
যুবক— রেকর্ড করলে কী হবে?
1) A girl was stopped from entering Golden Temple because she had an Indian flag painted on her face.
— Anshul Saxena (@AskAnshul) April 17, 2023
The man who denied her entry into Golden Temple said, this is Punjab not India. pic.twitter.com/IfUi74poIk
এর পর দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চলাকালীনই মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই হল স্বর্ণমন্দির।’’ পরে মেয়েটির দিকেও তেড়ে যেতে দেখা যায় ওই যুবককে। তাঁর মোবাইলটিও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
ঘটনাটির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই, অনেকে মন্তব্য করেছেন, স্বর্ণমন্দিরে একই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরাও। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়া টি-শার্ট পরে মন্দিরে হাজির হওয়ায় তাঁকে ধমকানো হয়েছিল। আরও এক জন জানিয়েছেন, মন্দিরে দাঁড়িয়ে স্ত্রী-র সঙ্গে ছবি তোলার জন্য এক ব্যক্তি তরবারি হাতে তেড়ে এসেছিলেন তাঁর দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy