হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ফের বিশাখাপত্তনম। এ বার একটি ওষুধ কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে মৃত্যু হল ২ জনের। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চার জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শহরের পারওড়ারা এলাকার একটি ওষুধ কারখানা থেকে গ্যাস লিক করা শুরু হয়। কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।
আগের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক উদয় কুমার। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও দমকলবাহিনী গিয়ে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোটা কারখানাটি।
উদয় কুমার আরও জানিয়েছেন, খুব দ্রুততার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁরা ওই কারখানারই কর্মী। তবে যে হেতু কর্মীরা আগে থেকেই সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন, তাই কারখানার বাইরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তা না হলে অনেক বড় বিপদের সম্ভাবনা থাকত।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ চিনের বিরুদ্ধে, টিকটক-সহ ৫৯ অ্যাপ নিষিদ্ধ দেশে
তবে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি ছিল কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উদয় কুমার। মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
গত মাসেই বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ শহরতলির কাছে গোপালপত্তনম এলাকায় একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করায় দুই শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। ফলে ফের গ্যাস লিকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারওয়াড়া এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোপালপত্তনমের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার তত্পরতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy