মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে গুজরাতের সাবরমতী জেল। আতিক আহমেদের পর এ বার বিষ্ণোইকেও স্থানান্তরিত করা হচ্ছে সাবরমতী সেন্ট্রাল জেলে। ১৯৯ কোটির বেশি টাকার মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিষ্ণোই। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের পর এই মাদক মামলায় আমদাবাদের নলিয়া আদালতে হাজির করানো হয়েছিল এই গ্যাংস্টারকে। তখন আদালত সাবরমতী জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) ৭ মাস আগে কচ্ছের পূর্বে সমুদ্র সীমান্ত থেকে ২০০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল। এটিএস জানতে পারে, পঞ্জাবের জেলে থাকার সময় পাকিস্তান থেকে মাদক আনাতেন বিষ্ণোই। ২০০ কোটি টাকার যে মাদক পাচার করা হচ্ছিল, সেই ঘটনার সঙ্গে বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে।
গুজরাত পুলিশের এটিএসের সন্দেহ সাবরমতী জেলে নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা করতে পারেন বিষ্ণোই। তাই সেই নেটওয়ার্ক যাতে তিনি তৈরি করতে না পারেন, জেলের ভিতরে যাতে নতুন গ্যাং বানাতে না পারেন, জেল প্রশাসনকেও সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পঞ্জাবের জেলে থাকাকালীন মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, মুম্বইয়ে নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন বিষ্ণোই। ফলে সাবরমতী জেলে স্থানান্তরের পর সেখানেও নতুন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারেন, এমনটাই সন্দেহ করছে এটিএস।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষ্ণোইকে আতিক আহমেদের হত্যাকাণ্ডের জন্য জেরা করা হতে পারে। পঞ্জাবি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালার খুনে অভিযুক্ত বিষ্ণোই। তা ছাড়া, সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। জেলে বসেই দেশে এবং বিদেশেও অপরাধের নেটওয়ার্ক চালানোর অভিযোগও রয়েছে বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy