আবু সালেম। —ফাইল চিত্র।
প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন মুম্বই হামলার আসামি আবু সালেম। তাঁর আর্জির প্রেক্ষিতে তালোজা জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ পাঠাল বিশেষ আদালত। বলা হল, পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া যেন অন্য কোনও জেলে সালেমকে স্থানান্তর করা না হয়।
তিনি প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। এই কথা জানিয়ে বিশেষ আদালতের কাছে সালেমের আবেদন ছিল, তালোজা জেল সুপারকে যেন আদালত নির্দেশ দেয় যে তাঁকে অন্য কোনও জেলে না পাঠানো হয়। ১৯ বছর আগে পর্তুগাল তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের পর থেকে কারাবাসেই রয়েছেন সালেম। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, তালোজা জেল থেকে তাঁকে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে। এই খবর জানার পর থেকেই কয়েক জন তাঁকে হত্যার ছক কষছেন। আদালতে সালেম আবেদনে জানিয়েছেন, তালোজা জেলের সংস্কার এবং নিরাপত্তাজনিত কিছু কারণে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতে পারে। কিন্তু তিনি আপাতত ওই জেলেই থাকতে চান। আদালত আগামী ২৮ মে-র মধ্যে এ ব্যাপারে তালোজা জেল সুপারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে। তত দিন ওই জেলেই থাকবেন সালেম।
১৯৯৩-এর ১২ মার্চ দুপুর দেড়টা থেকে তিনটে চল্লিশের মধ্যে মোট বারো বার কেঁপে উঠেছিল দেশের বাণিজ্যনগরী। হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ২৫৭ জনের। আহত হন সাতশোরও বেশি মানুষ। ‘টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপটিভ অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট’ বা টাডা আদালতে শুরু হয় জঙ্গি হামলার শুনানি। দাউদ ইব্রাহিম এবং টাইগার মেমনকে এই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল সিবিআই। এঁরা দু’জনেই পলাতক। কিন্তু আবু সালেম, ফিরোজ আব্দুল রশিদ খান, তাহের মার্চেন্ট, করিমুল্লা খান, মুস্তাফা দোসা, রিয়াজ সিদ্দিকি-র মতো চক্রীদের দোষী সাব্যস্ত করে টাডা আদালত। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুস্তাফার। অন্য দিকে, হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র গুজরাত থেকে মুম্বই আনার দায়িত্ব থাকা সালেমকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৫ সালে। বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে একে-৪৭-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন সালেম। বেআইনি অস্ত্র মামলায় জেল খাটেন সঞ্জয়। সালেম পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ধরা পড়েন তিনি। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে পর্তুগাল থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy