মুম্বই বিমানবন্দরে ‘তোলাবাজি’র নয়া কৌশল! গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মুম্বই বিমানবন্দরে জি পে ‘এক্সটরশন’ চলছে! তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রের দাবি, বিমানবন্দরের আধিকারিক এবং বেশ কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে এই তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছে বিমানবন্দরের ভিতরেই। জি পে ‘এক্সটরশন’-এর তিনটি এমন ঘটনা তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। ‘তোলাবাজির’ এই নয়া কৌশলে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই ‘এক্সটরশন’ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৩৮ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহে পর পর আরও তিনটি মামলা স্পষ্ট করেছে যে, বিমানবন্দর শুল্ক আধিকারিকদের ‘তোলাবাজির ক্ষেত্র’ হয়ে উঠেছে।
কী এই জি পে ‘এক্সটরশন’? কারা জড়িত এই কাণ্ডে?
সিবিআইয়ের এফআইআর অনুযায়ী, শুল্ক সুপারিন্টেডেন্ট অলোক কুমারের বিরুদ্ধে এই ধরনের ‘তোলাবাজি চক্র’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এক যাত্রী দুবাই থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন। তাঁর কাছে সোনার গয়না ছিল। ওই যাত্রীর দাবি, বোনকে উপহার দেওয়ার জন্য এই গয়না ভারত থেকে দুবাইয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বিমানবন্দরে এই গয়না সম্পর্কে ‘ডিক্লেয়ারেশন’ও দেন। কিন্তু সেই উপহার বোন না নেওয়ায় আবার নিজের সঙ্গেই ফেরত নিয়ে আসেন। শুল্ক আধিকারিককে সেই ‘ডিক্লেয়ারেশন’ও দেখান। অভিযোগ, তা মানতে রাজি হননি অলোক কুমার। উল্টে ওই যাত্রীর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেন এবং ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ‘কাস্টম ডিউটি’ হিসাবে দাবি করেন। এর পর বাড়িতে ফোন করে ৯০ হাজার টাকা নগদ আনান ওই ব্যক্তি। ক্যাশ লোডারের মাধ্যমে সেই টাকা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে নেওয়া হয়। বাকি ৩০ হাজার টাকা জি পে-র মাধ্যমে নেওয়া হয়। ওই যাত্রী টাকার রশিদ চাইলে তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলা হয়, এটা ‘প্রোটেকশন মানি’।
সিবিআই দ্বিতীয় যে মামলা দায়ের করেছে সেখানে বলা হয়েছে, এক যাত্রী ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বই ফেরেন। তাঁর সঙ্গে নতুন জুতো, ঘড়ি এবং সোনার গয়না ছিল। অলোক কুমার ওই যাত্রীকে আটক করে ‘কাস্টম ডিউটি’র নামে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু দর কষাকষির পর সেই টাকার পরিমাণ সাড়ে ১০ হাজারে নামে। সেই টাকা বিমানবন্দরের এক কর্মী রোহিত গায়কোয়াড়ের অ্যাকাউন্টে জি পে-র মাধ্যমে দিতে বলা হয় যাত্রীকে।
তৃতীয় মামলায় এক যাত্রী আবু ধাবি থেকে গত ৪ মার্চ মুম্বইয়ে ফেরেন। বিমানবন্দরে আর এক শুল্ক আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার মীনা ওই যাত্রীকে আটক করেন। সোনা নিয়ে আসার জন্য তাঁর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ‘কাস্টম ডিউটি’ হিসাবে দাবি করা হয়। দর কষাকষির পর সেটি ১২ হাজারে নামে। সেই টাকা জি পে-র মাধ্যমে সুরেন্দ্র নেন বলে অভিযোগ। এই তিনটি মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy