সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভায় প্রথম বার মুখ খুলেই সংবিধানের মূল কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে রাজ্যসভায় বিতর্কে অংশ নিয়ে গগৈ বলেছেন, সংবিধানের মূল কাঠামোর আইনি ভিত্তি খুবই বিতর্কিত। একাধিক বিরোধী দলের সাংসদ এ দিন রাজ্যসভায় দাবি করেছেন, দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর বিরোধী। তার জবাবেই এই মন্তব্য করেন গগৈ।
আজ গগৈয়ের মন্তব্যের পরে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, মোদী সরকার কি গগৈর মন্তব্যকে সমর্থন করছে? কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, “এক জন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সংবিধানের মূল কাঠামোর আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটা কি পুরো মাত্রায় সংবিধান ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করার বিজেপির কৌশল? যাঁরা সংবিধানের নীতি মানে না, তাঁরাই বিতর্কিত ট্র্যাক রেকর্ডের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে খাড়া করে সংবিধানের উপরে হামলা করছে।’’ মোদী জমানায় বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার পরেই রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় এসেছেন গগৈ। অবসরের আগেই তাঁর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ অযোধ্যায় রামমন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতি থাকার সময় সুপ্রিম কোর্টের এক মহিলা কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত কমিটিই সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ গগৈর বক্তৃতার সময় জয়া বচ্চন, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, বন্দনা চহ্বাণ, সুস্মিতা দেবের মতো মহিলা সাংসদরা ওয়াক-আউট করেন।
সংবিধানে মূল কাঠামোর উল্লেখ না থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সংবিধানের মূল কাঠামোর কথা বলেছিল। আদালতের রায় ছিল, সংবিধান সংশোধন করেও তা বদলানো যাবে না। এর আগে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় মোদী সরকারের জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন খারিজ করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট ওই আইন সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’-র বিরুদ্ধে বলে খারিজ করে দিয়েছে। কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও সমালোচনা করেন তিনি। ধনখড়ের যুক্তি ছিল, সংসদই সর্বোচ্চ। সংসদের ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকা উচিত। আজ গগৈ রাজ্যসভার বক্তৃতার পরে বলেন, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক দল নয়, মনোনীত সদস্য হিসেবে যা বলার বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy