এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনে শুক্রবারই মুম্বই পুলিশ আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন ওই পাঁচ জন সিদ্দিকিকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রফা না হওয়ায় পিছিয়ে আসেন তাঁরা।
ধৃতেরা সিদ্দিকি খুনে জড়িত না থাকলে কী অভিযোগে গ্রেফতার করা হল? উঠেছে এই প্রশ্ন। পুলিশের জবাব, খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পাঁচ গ্রেফতারি নিয়ে ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়। তবে এখনও তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তির খোঁজ চলছে। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা সকলেই লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতীদলের সঙ্গে যুক্ত।
গত শনিবার পুত্র তথা জ়িশান সিদ্দিকির দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুন হন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয়। এর আগে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্ত দুই শুটার— গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ। এ ছাড়াও প্রবীণ লোনকর নামে এক দুগ্ধ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি, প্রবীণের পাশের এক দোকানের মালিক হরিশকুমার নিশাদকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এনসিপি নেতা খুনে মুলচক্রী হিসাবে উঠে এসেছে শুভম লোনকরের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, শুভমই খুনের বিষয়ে প্রথম পরিকল্পনা করেন। তা নিয়ে ধৃতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন শুভম। কিন্তু পরে টাকা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তবে ধৃতেরা সিদ্দিকি খুনে সাহায্য করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy