সপ্তাহখানেক আগেই ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে মাওবাদীদের তরফে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার মাঝে বস্তারেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ফের প্রাণ গেল দুই মাওবাদীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের মাথার উপর সমষ্টিগত ভাবে ১৩ লক্ষ টাকার পুরস্কার ধার্য করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্রও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মাওবাদীদের নাম হালদার এবং রামে। হালদার মাওবাদীদের পূর্ব বস্তার ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন। রামে ছিলেন এলাকা কমিটির সদস্য। হালদার এবং রামের মাথার উপর যথাক্রমে ৮ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ছিল। তাই এই অভিযানকে মাওবাদী দমনে নতুন সাফল্য বলেই মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
আরও পড়ুন:
বস্তার রেঞ্জের ডিজিপি সুন্দররাজ পি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোন্ডাগাঁও এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানায় কিলাম-বারগুম গ্রামের একটি জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ দল। তখনই হঠাৎ নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে মাওবাদীরা গুলি ছুড়তে শুরু করেন। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। শেষমেশ মৃত্যু হয় দুই মাওবাদীর। ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, কোন্ডাগাঁও জেলা এবং রাজ্য পুলিশের দল, ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং বস্তার ফাইটার্সের সদস্যেরা এই অভিযানে জড়িত ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে দুই মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে একটি একে-৪৭ রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র ও বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় আরও কেউ গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন কি না জানতে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তীসগঢ়ের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। চলতি বছরে সে রাজ্যে পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৪০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কেবল বস্তার রেঞ্জেই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে হত হয়েছেন ১২৩ জন মাওবাদী।