রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) রেপো রেট হ্রাস করায় গৃহঋণে কমেছে সুদ। ফলে মাসিক কিস্তিতে স্বস্তি মেলায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার রয়েছে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে রিয়েল এস্টেট শিল্প নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল সমীক্ষক সংস্থা প্রপইকুইটি। কলকাতা-সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করেছে তারা।
প্রপইকুইটির রিপোর্ট অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে (২০২৪-’২৫) দেশ জুড়ে নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মূল্য গড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে পায় ন’শতাংশ। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতি বর্গফুটের গড় মূল্য ছিল ১২ হাজার ৫৬৯ টাকা। কিন্তু গত অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে ১৩ হাজার ১৯৭ টাকায় পৌঁছয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কলকাতা, পুণে এবং ঠাণের মতো এলাকাগুলিতে নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে কলকাতায়। গত আর্থিক বছরে বাংলার রাজধানীতে নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ঠাণে। সেখানে নতুন বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দর বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এ ছাড়া দামের সূচক বেঙ্গালুরুতে ১৫ শতাংশ, পুণেয় ১০ শতাংশ, দিল্লি-এনসিআর ও হায়দরাবাদে পাঁচ শতাংশ এবং চেন্নাইতে চার শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা গিয়েছে।
নতুন বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দাম তিন শতাংশ হ্রাস পেয়েছে মুম্বই এবং নভি মুম্বইয়ে। কিন্তু তার পরও দেশের সর্বাধিক ব্যয়বহুল আবাসন বাজারের তকমা ধরে রেখেছে মুম্বই। আর এই হিসাবে নভি মুম্বইয়ের স্থান চতুর্থ। নতুন বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধির কারণ রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন সমীক্ষকেরা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন প্রপইকুইটির প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সমীর জাসুজ়া। তাঁর কথায়, ‘‘দাম বৃদ্ধির ফলে গত এক বছরে চাহিদা এবং সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। রিয়েল এস্টেটের মূল উপাদানের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে জমি। এ ছাড়া নির্মাণ সামগ্রী এবং বিপুল পরিমাণের শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তিন ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব নতুন বাড়ি এবং ফ্ল্যাটের দামের উপর পড়ছে।’’ ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে দেশের শীর্ষ ন’টি শহরে আবাসনের দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।