মুম্বইয়ের ইডি দফতরে গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ধোঁয়া রয়েছে। দফতরে মজুত বহু নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। উল্লেখ্য, মুম্বইে ইডির এই দফতরেই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আর্থিক তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসী, নীরব মোদীদের মামলার তদন্ত চলছে।
শনিবার গভীর রাতে ইডি দফতরে আগুন লাগে। মুম্বইয়ের বালার্ড এস্টেট এলাকায় গ্র্যান্ড হোটেলের সামনেই একটি ছ’তলা ভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। রাত আড়াইটে নাগাদ সেখান থেকে দমকলের কাছে ফোন যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের।
আরও পড়ুন:
প্রথমে দমকলের আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরে আগুনের পরিমাণ বুঝে আরও চারটি ইঞ্জিন সেখানে পাঠানো হয়। এ ছাড়াও দমকলের তরফে ছ’টি বড় ট্যাঙ্কার, একটি অ্যাম্বুল্যান্স, একটি উদ্ধারকারী গাড়ি এবং অন্যান্য সরঞ্জামের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বিশেষ যন্ত্র হাওয়ায় ভাসিয়ে তার মাধ্যমেও জল দেওয়া হয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, বহুতলের পাঁচতলা পর্যন্ত আগুন সীমাবদ্ধ ছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত দমকলকর্মীরা কাজ করছেন ইডি দফতরে। ধোঁয়ায় ঢেকে আছে চারপাশ।
ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ইডি দফতরের আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, তাকে ‘লেভেল ২ পর্যায়ের আগুন’ বলে উল্লেখ করেন কর্তৃপক্ষ। পরে সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন পৌঁছে যায় ‘লেভেল ৩’ পর্যায়ে। গভীর রাতে ইডি দফতর বন্ধ ছিল। ফলে ভিতরে কর্মীরা তেমন কেউ ছিলেন না। দিনের অন্য কোনও সময়ে আগুন লাগলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারত। সে ক্ষেত্রে মানুষেরও ক্ষতি হতে পারত। আগুনের ফলে ইডি দফতরের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখনও স্পষ্ট নয়। অত রাতে কী ভাবে আগুন লাগল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।