প্রতীকী ছবি।
প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভকারী কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাপান-উতর। এর মধ্যেই কৃষক সংগঠনের নেতারা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, তাঁদের ট্র্যাক্টর মার্চ হবে শুধুমাত্র দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে। লালকেল্লায় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্র্যাক্টর র্যালি হবে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে ট্র্যাক্টর নিয়ে ঢুকে পড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানানো হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা বলবীর সিংহ রাজেয়াল কৃষকদের দেওয়া খোলা চিঠিতে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, দিল্লির বুকে ট্র্যাক্টর মার্চকে কিছু বিচ্ছিন্নবাদী ভেস্তে দিতে চায়। সেই ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন করেছেন নেতারা। এই মার্চের জন্য অল ইন্ডিয়া কিসান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন দিল্লি সীমানায় জড়ো হওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
কৃষকদের এই প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র্যালিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্র। দিল্লি পুলিশের কাছেও একটি আবেদন জমা দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে কেন্দ্র বলেছে, আন্দোলনকারীদের একটি দল প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর মার্চের পরিকল্পনা করেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে একই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যে হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র, মঙ্গলবার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে স্থগিতাদেশের বিষয়টি শুনতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রও। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবাদকারী কৃষক সংগঠনগুলিকে নোটিশও পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রের আবেদনে দেশের শীর্ষ আদালত ট্র্যাক্টর র্যালি নিয়ে কী অবস্থান নেয়, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: ‘২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠান নষ্ট হবে না’, ট্র্যাক্টর র্যালি নিয়ে রাজনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy