ছবি: পিটিআই
দিল্লিতে প্রতিবাদরত কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ১১তম বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র। শুক্রবার আলোচনার পরে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারা যায়নি। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই ব্যাপারে আগামী কাল, শনিবার কৃষকদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।’’ তবে কৃষকদেরই এক নেতা বলেছেন, কেন্দ্রের তরফে সুর চড়িয়ে বলা হয়েছে, আর তারা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না। উল্টো দিকে কৃষকরা হুমকি দিয়েছেন, তাঁরা আরও জোরদার আন্দোলন করবেন।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ১১ তম বৈঠকেও কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন। তাঁরা চাইছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন। অন্য দিকে, সরকার কৃষি আইন ১২ থেকে ১৮ মাস স্থগিত রাখার কথা বলেই কৃষকদের আন্দোলন তুলে নিতে বলছে। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, ১৮ মাস আইন বলবৎ না করা সরকারের তরফে সেরা সমাধান সূত্র। যার অর্থ, সরকার আর হয়তো আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয়।
দু’পক্ষই নিজের অবস্থান থেকে না সরায় স্বাভাবিকভাবে শুক্রবার আলোচনার কোনও ইতিবাচক ফল হয়নি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, প্রতিবার যেমন বৈঠক শেষে পরের দিনের বৈঠকের তারিখ ঘোষিত হত, শুক্রবার তেমনটা হয়নি। যদিও ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেছেন, কেন্দ্র ফের আলোচনায় বসবে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র্যালি হবে।
তবে, উত্তাপ বেড়েছে আর এক কৃষক নেতার কথায়। কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা এসএস পান্ধারের দাবি, ‘‘সরকার আর আলোচনা চাইছে না।’’
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, কৃষকদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসতে তৈরি প্রশাসন। সেখানে আইন স্থগিত রাখার বিষয়টি আলোচিত হবে। কিন্তু শুক্রবার পরবর্তী আলোচনার দিন ঘোষণা না করে কৃষকদের একটু চাপ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, সরকার দাবি না মানায় তাঁরা আরও জোরদার আন্দোলনের দিকে যাবেন। কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা এসএস পান্ধর বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছেন। এটা কৃষকদের কাছে যথেষ্ট অপমানজনক। তারপর তিনি এসে সরকারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলেছেন।’’ সরকার এ-ও জানিয়েছে, যতগুলি উপায় আছে, ততগুলি পথ কেন্দ্র কৃষকদের দেওয়া হয়েছে, এ বার তাঁরা নিজেরা আলোচনা করে দেখুন।
এর আগের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত কৃষি আইন স্থগিত করে একটি কমিটি তৈরি করার কথা বলে। সেখানে আলোচনা করে তারপর আইন কার্যকর করার কথা বলা হয়। যদিও সেই কমিটির প্রস্তাব গ্রহণ করেননি কৃষকরা। তাঁরা আইন বাতিল ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনের দাবিতেই অনড় ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy