প্রতীকী ছবি।
টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ তুলল নরেন্দ্র মোদী সরকার। অবিলম্বে ‘কৃষক গণহত্যা’ (ফারমারস জেনোসাইড) হ্যাশট্যাগ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বুধবার টুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
মাইক্রোব্লগিং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম টুইটারে গত সপ্তাহ থেকে দিল্লি সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর পুলিশি হামলার অভিযোগ নিয়ে নানা টুইট হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ‘কৃষক গণহত্যা’ শব্দবন্ধের প্রয়োগ নিয়ে সোমবার আপত্তি তুলেছিল কেন্দ্র। সেই আপত্তির জেরে প্রায় ওই হ্যাশট্যাগ যুক্ত প্রায় আড়াইশোটি হ্যান্ডল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১২ ঘন্টা পরেই সোমবার ফের সেগুলি চালু করে দেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এক সিপিএম নেতার টুইটার হ্যান্ডলও।
এর পরেই মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়ে টুইটারকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারা এবং ৯(১) বিধি অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ২৫৭টি ইউআরএল এবং ১টি হ্যাশট্যাগ ফের ব্লক করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের নোটিসের বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ওই আপত্তিকর হ্যাশট্যাগে নানা বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে। ৫ পাতার ওই নোটিসে আরও অভিযোগ, ‘হ্যাশট্যাগ মোদী প্ল্যানিং ফারমার জেনোসাইড’ সরাসরি হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে। তাই তা কোনও ভাবেই ‘মতপ্রকাশের অধিকার’ হিসেবে বিবেচ্য হতে পারে না। এটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৯-এ(৩) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy