Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Farm Bills 2020

নিয়ম মেনেই লড়াই চালিয়ে যাবেন কৃষকেরা

জায়গা ছেড়ে দেওয়া তো দুরস্থান, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন সূত্রে জানানো হচ্ছে চলতি সপ্তাহে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু করা হবে। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৫৩
Share: Save:

কোভিডের প্রথম ধাক্কা সামলে দিল্লি সীমানায় তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। কিন্তু আন্দোলনের ২০০ দিন পার করে দেওয়ার পরেও যেমন মোদী সরকারকে আইন প্রত্যাহারের প্রশ্নে একচুলও নমনীয় করা যায়নি, তেমনই কোভিডের দ্বিতীয় ছোবল প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে কৃষকদের। গ্রীষ্ম বর্ষা এবং হাড় কাঁপানো শীত সহ্য করে রাস্তায় সংসার পেতে এত দিন চালিয়েছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, এ বার কী হবে?

জায়গা ছেড়ে দেওয়া তো দুরস্থান, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন সূত্রে জানানো হচ্ছে চলতি সপ্তাহে নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরু করা হবে। যারা গ্রামে ফিরেছিলেন কয়েক দিনের জন্য তারাও আবার সীমানায় এসে জড় হবেন কাল থেকে। সিংঘু সীমানায় ৪ কিলোমিটারের একটি নতুন বসতিই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শয়ে শয়ে তাঁবু এবং অস্থায়ী থাকার জায়গা। ওই প্রবল ভিড়ের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা মুখোশের বিধিনিষেধের কেউ পরোয়া করছেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুম্ভমেলা বা জনসভার মতোই এখান থেকেও করোনার সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, কোভিডের নতুন উৎস-কেন্দ্র এই আন্দোলনস্থল।

বি কে ইউ-র সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিংহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আন্দোলনরত কৃষক এবং তাঁদের পরিবারের করোনা আক্রান্ত হওয়া এবং ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কার ব্যাপারে তাঁরা অবগত। কিন্তু, এই সময়ে আন্দোলন গুটিয়ে নেওয়াও সম্ভব নয়। কেন্দ্র যত ক্ষণ না আইন প্রত্যাহার করছে, তত ক্ষণ আন্দোলন চলবে। এই ২০০ দিনে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। কৃষক নেতারা শাহিনবাগ আন্দোলনের উদাহরণ দিয়ে বলছেন, কোভিড-এর কারণে ওই সিএএ-বিরোধী আন্দোলন গুটিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই তা দুর্বল হয়ে যায়।

সুখদেবের কথায়, মুখোশ পরা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সচেতন থাকবেন। কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্র খুলতেও সহযোগিতা করবেন সরকারি কর্তাদের। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ পারভেশ বর্মা অভিযোগ করেন, অন্য রাজ্য থেকে অক্সিজেনের গাড়ি দিল্লিতে ঢুকতে পারছে না সীমানায় কৃষদের অবরোধের জন্য। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার বক্তব্য, এ সব নিছকই অপপ্রচার। আন্দোলনরত চাষীদের বদনাম করার চেষ্টা। মোর্চার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, একটিও অ্যাম্বুল্যান্স অথবা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার গাড়ি আটকানো হয়নি। বরং সরকারই নিরেট ব্যারিকেড এবং পেরেক ছড়িয়ে রেখেছে কৃষকদের আটকাতে। কৃষকেরা মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছে, এবং সমস্ত মানবাধিকারকেই তারা সমর্থন করে।

অন্য বিষয়গুলি:

Farmers Agitation Farm Bills 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy