ছবি সংগৃহীত।
দিল্লিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে পঞ্জাবি গায়ক তথা অভিনেতা দীপ সিধু। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ তুললেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন(বিকেইউ)-এর প্রধান গুরনাম সিংহ চাদুনি।
তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের ভুল পথে চালিত করেছেন দীপ। তাঁরই নেতৃত্বে কৃষকরা লালকেল্লায় অভিযান চালায়। কৃষকরা কখনওই লালকেল্লায় ঢুকতে চাননি। এক সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন চাদুনি। অন্য দিকে, স্বরাজ ইন্ডিয়া-র নেতা যোগেন্দ্র যাদবও একই অভিযোগ তুলেছেন। এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই ঘটনার জন্য দুই ব্যক্তি দায়ী। তাঁদের মধ্যে দীপ সিধু এক জন। হিংসার সময় লালকেল্লায় ছিলেন দীপ। এই মিছিলের শুরু থেকেই তাঁর যোগদানের বিরোধিতা করা হয়েছিল।”
এর পরই যোগেন্দ্র যোগ করেন, “লালকেল্লায় যা ঘটেছে তার জন্য সত্যিই লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই।” এই ঘটনার দায় যে তিনি এড়াতে পারেন না সে কথাও স্বীকার করেছেন যোগেন্দ্র। সেই সঙ্গে তাঁর গলার খেদের সুরও ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার যা ঘটল রাজধানীতে তা মোটের উপর আন্দোলনের বদনামই হল বলেই জানিয়েছেন যোগেন্দ্র।
কংগ্রেসের সাংসদ রবনীত সিংহ বিট্টুও দাবি করেছেন, এই পুরো ঘটনার পিছনে দীপের ইন্ধন রয়েছে। লালকেল্লায় তিনিই পতাকা উড়িয়েছেন। রবনীত আরও জানান, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস(এসএফজে)-এর সদস্য দীপ।
কৃষকদের এক সূত্রের খবর, দীপ এই আন্দোলনের পুরোভাগে থাকার চেষ্টা করছিলেন প্রথম থেকেই। কিন্তু কৃষক নেতারাই তা নিয়ে বিরোধিতা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যখন হিংসায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠছে তখন ফেসবুকে লাইভে দেখা গিয়েছে দীপ দাবি করছেন, ‘লালকেল্লার নিশান সাহিবে পতাকা উত্তোলন করেছি আমরা। দেশের পতাকা সরানো হয়নি সেখান থেকে।”
মঙ্গলবার সকালে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজধানী দিল্লি। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চলে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙে, সরকারি বাস এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৮৬ জন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানীর বুকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy