সিলিকন ভ্যালিতে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী। ছবি: টুইটার।
‘আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তের ক্যালিফোর্নিয়ায় সূর্য ডোবে সবচেয়ে দেরিতে। এখানেই আবার দুনিয়াকে বদলে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ধারণা বাস্তবায়িত হয় সবচেয়ে আগে।’ বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি-হাব ‘সিলিকন ভ্যালি’তে এসে তথ্য-প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘হু’জ-হু’দের সঙ্গে দেখা করে এমন কথাই শোনালেন ‘টেক-স্যাভি’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিন দশকের মধ্যে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সান হোসের ‘সিলিকন ভ্যালি’তে এসে মোদী বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব এখন গোটা বিশ্বেই। আমাদের প্রতিবেশী এখন টুইটার-ফেসবুক।’
‘সিলিকন ভ্যালি’তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ‘মাইক্রোসফ্টে’র সিইও সত্য নাদেল্লা, ‘গুগ্লে’র সুন্দর পিচাই, ‘অ্যাডোবে’র শান্তনু নারায়ণ, ‘কোয়ালকমে’র এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান পল জেকব্স।
ছিলেন ‘সিস্কো’র কর্ণধার জন চেম্বারসও।
সান হোসের ওই অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই তাঁর সরকারও। কারণ, তিনি মনে করেন আশা-আকাঙ্খা আর সুযোগ—এই দু’য়ের মাঝে দুরত্ব এক মাত্র কমাতে পারে আধুনিক প্রযুক্তিই।
নেট-স্যাভি প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে পৌঁছনোই তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য। আর সেই লক্ষে ইতিমধ্যেই হাজার ছয়েক গ্রামকে ব্রডব্যান্ডের সাহায্যে যুক্ত করা গিয়েছে। ভারতের প্রায় ৫০০টি রেল স্টেশনে চালু হবে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি। এর জন্য গুগ্লের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানান মোদী।
‘ই-গভর্ন্যান্স’ ছেড়ে সরকার এখন ঝুঁকেছে ‘মোবাইল গভর্ন্যান্সে’র দিকে। আম-আদমির হাতের মুঠোয় সরকারকে এনে দিতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার, তা জানাতেও ভোলেননি মোদী। ‘মাইগভ ডট ইন’ প্রকল্পের পর তাই কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে প্রধানমন্ত্রীর নামে মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে যে আরও বেশি করে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর সরকার, তা জানাতেও ভোলেননি মোদী।
কম খরচে প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দিতে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার নামজাদা কর্ণধারদের কাছে অনুরোধ জানান মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy