— ফাইল ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে সমাজমাধ্যম হয়ে উঠেছে আরও ক্ষুরধার, আরও তীক্ষ্ণ। মেটাভার্সের দুনিয়া এখন যেন সব পেয়েছির আসর। কিন্তু এরই মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভয় ধরানো নানা গলি, উপগলি। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আপনার আর্থিক অবস্থার সমস্ত তথ্য ফেসবুককে সরবরাহ করছে একাধিক কর সংক্রান্ত ওয়েবসাইট। যে সাইটগুলো আমেরিকায় ট্যাক্স দেওয়ার স্বীকৃত মাধ্যম হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে।
ফেসবুকে পাতা খুলতে আপনার বেতন কত তা জানাতে হয় না। কিন্তু ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট আছে এমন যে কেউ তা ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন, আপনি কোন অর্থনৈতিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেন, তা বুঝে যাচ্ছে সমাজমাধ্যমের পাতা। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপনও চলে আসছে আপনার ফোনের স্ক্রিনে। কিন্তু তা কী করে সম্ভব? বিজ্ঞান বলছে, সবই সম্ভব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মাধ্যমে। আপনার পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থেকেই নির্দিষ্ট করে আপনার আয়-ব্যয় গুনে ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু এ বার আরও বড় সমস্যার কথা তুলে ধরেছে একটি রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকার একাধিক ‘ট্যাক্স ফাইলিং ওয়েবসাইট’ তাদের হাতে থাকা স্পর্শকাতর আর্থিক তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে ফেসবুকের কাছে। তাতে গাণিতিক বিন্যাসের (অ্যালগরিদম) ব্যবহারকে করে তোলা হচ্ছে আরও নিখুঁত, আরও নিশ্চিত তথ্য।
রিপোর্টে আমেরিকার কয়েকটি জনপ্রিয় ট্যাক্স ফাইলিং ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘এইচ অ্যান্ড আর ব্লক’, ‘ট্যাক্সঅ্যাক্ট’ বা ‘ট্যাক্সস্লেয়ার’। এই সংস্থাগুলি গোপনে আপনার আর্থিক তথ্য সরবরাহ করছে ফেসবুককে। তার ফলে আপনার ফেসবুকে পাতা থাকুক কিংবা না থাকুক, সব তথ্যই চলে যাচ্ছে ফেসবুকের কাছে। তাতে আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য বাণিজ্যিক ব্যবহারে লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও সংস্থাগুলি প্রত্যেকেই এমন দাবিকে সরাসরি নাকচ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy