যুদ্ধের ২৭৩তম দিনে ইউক্রেনে নতুন করে হামলা রুশ ফৌজের। রাজধানী কিভ, শিল্পনগরি খারকিভ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র জ়াপোরিজিয়ায় বৃহস্পতিবার আবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শীতের মরসুমে ইউক্রেনবাসীকে বিপাকে ফেলতে বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে।
শুধু ইউক্রেন নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় বিপাকে পড়েছে পড়শি দেশ মলডোভাও। ইউক্রেনের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ বুধবার বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী ওই কেন্দ্র থেকে মলডোভায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করত ইউক্রেন। ফলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে মলডোভার বিস্তীর্ণ এলাকা।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের বাসিন্দাদের শীতের মরসুমে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়ার রুশ কৌশলের আঁচ পেয়েই চলতি সপ্তাহে ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, দেশ জুড়ে বিশেষ আশ্রয় শিবির খোলা হবে। সেখানে বিদ্যুৎ থাকবে, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা থাকবে, জল, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওষুধ, বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সরকার কত জনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি বাসিন্দা বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। বরফ ঢাকা পড়া বাড়ির রুম হিটার কাজ করছে না। পানীয় জলের লাইন অকেজো। সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেন সেনার হামলায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাই জাঁকিয়ে শীত পড়ার ঠিক আগেই শুরু হয়েছে ইউক্রেনবাসীকে ‘ভাতে মারার’ চেষ্টা।