এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
বাধ্য হয়েই ভারতকে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করতে হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রীএস জয়শঙ্কর।
ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তা নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলে ওয়াশিংটনে জয়শঙ্কর বলেছেন, “বাধ্যবাধকতা ছিল। আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসের উপরে হিংসার প্রচার করা হচ্ছিল। কী ভাবে ওঁরা দফতরে গিয়ে ভিসা দেওয়ার কাজ করবেন। এটা আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তির প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে।’’ অন্য দেশের কূটনীতিক, দূতাবাস, নাগরিকদের হিংসার আশঙ্কার মুখে পড়তে হলে তাদের কী প্রতিক্রিয়া হত, তা নিয়ে প্রশ্নতুলেছেন জয়শঙ্কর।
গত জুলাই মাসে খলিস্তান সমর্থকেরা সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। ভারত অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। খলিস্তানিদের কানাডার মদত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।
জয়শঙ্কর আমেরিকা সফরে গিয়ে সে দেশের বিদেশসচিব, প্রতিরক্ষাসচিব, বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তাঁর কানাডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জয়শঙ্কর নিজেই জানিয়েছেন। ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘কানাডা সম্পর্কে ভারত ও আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিতে ফারাক রয়েছে। এ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। আমেরিকা কানাডার ঘনিষ্ঠ। ভারতের বন্ধু। বাস্তব পরিস্থিতি হল, কানাডার সঙ্গে সমস্যা চলছে। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থার প্রতি কানাডার মনোভাব নিয়ে সমস্যা। কানাডায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের ভারতে ফেরানোর অনুরোধ কানাডা বিবেচনা করেনি। কানাডায় বেআইনি কাজকারবার চলছে।’’
ট্রুডো বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খলিস্তানি সমস্যা, কানাডায় খলিস্তানিপন্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে কথা হয়েছিল। কানাডা হিংসা রোখায় কাজ করবে, কিন্তু বাকস্বাধীনতা, বিক্ষোভ জানানোর স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে। কার্যত তারই জবাবে জয়শঙ্কর বলেছেন, তিনি আমেরিকাকে জানিয়েছেন, কানাডাকে জানিয়েছেন, বাকস্বাধীনতার অর্থ সন্ত্রাসবাদে উস্কানি নয়। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। বাকস্বাধীনতা কী, তা ভারতের অন্য কারও থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। বাকস্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেওয়া হলে সেটা স্বাধীনতার অপব্যবহার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy