ধর্ম পরিবর্তন করার স্বাধীনতা সবারই আছে, কিন্তু সেই ধর্ম পরিবর্তনটি সমাজের আপত্তি ছাড়া এবং আইনি ভাবে হওয়া দরকার।
এমনটাই মন্তব্য করেছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। কী ভাবে ধাপে ধাপে এই বিষয়টি এগোনো যেতে পারে, একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশান্ত কুমার সম্প্রতি তার নির্দিষ্ট পথরেখা ঠিক করে দিয়েছেন।
এই বিষয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কারও ধর্ম পরিবর্তনে সমাজে যাতে আপত্তি না ওঠে, সেটা দেখাটাও কর্তব্য। এ জন্য হলফনামা দাখিলের পরে ধর্ম পরিবর্তনের ইচ্ছার কথা এলাকায় বহুল প্রচারিত কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। এতে কোনও জায়গা থেকে আপত্তি না উঠলে তার পরে বিষয়টি গেজেট নোটিফিকেশন করে চূড়ান্ত যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, হিন্দু মেয়ে আনজানিকে বিয়ে করার পরে জোর করে স্ত্রীর ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগে এফআইআর করা হয় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওয়ারিশ আলির বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কের্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওয়ারিশ। তাঁর স্ত্রী গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছায় তিনি ওয়ারিশকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি।
এই কথা শোনার পরেই বিচারক ওই মন্তব্য করেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ৬ মে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)