Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
COVID Deaths

COVID Deaths: হাসপাতালে ভর্তি না হলেও কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে হবে, নইলে ব্যবস্থা: কেন্দ্র

হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বা অন্যত্র করোনা রোগীর মৃত্যু হলেও কোভিডের শংসাপত্র দিতে হবে চিকিৎসকদের, নির্দেশ কেন্দ্রের।

কোভিড তথ্য নিয়ে লুকোছাপার অভিযোগের মধ্যে এমন নির্দেশ কেন্দ্রের।

কোভিড তথ্য নিয়ে লুকোছাপার অভিযোগের মধ্যে এমন নির্দেশ কেন্দ্রের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৪:০০
Share: Save:

রোগী হাসপাতালে ভর্তি হোন বা না হোন, বাড়িতে থেকেও যদি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়, তা কোভিড মৃত্যু হিসেবেই ধরতে হবে। মৃত্যুর শংসাপত্রেও কোভিডে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিষ্কার ভাবে লিখতে হবে চিকিৎসকদের। কোভিডে মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান নিয়ে লুকোছাপার অভিযোগে যখন বিদ্ধ একাধিক রাজ্য, সেইসময় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অতিমারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃতদের তালিকা তৈরিতে মূলত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত রোগীদের মত্যুর শংসাপত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিডের উল্লেখ করা হচ্ছিল। হাসপাতালের বাইরে পার্কিং লটে অপেক্ষারত অবস্থায় কোভিড রোগীদের মৃত্যু হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কোভিডে মৃত বলে ধরা হচ্ছিল না। তাতে কোভিড পরিসংখ্যানে গরমিল ধরা পড়ছিল। শনিবার রাতে সেই নিয়েই শীর্ষ আদালতে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র।

এখনও পর্যন্ত যে ছ’টি রাজ্যের বিরুদ্ধে কোভিডে মৃত্যু লুকোনোর অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি হল, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দিল্লি এবং বিহার। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সংযোজন বিহার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২০২১ সালে গোটা দেশ যখন বিধ্বস্ত, সেইসময় প্রথম পাঁচ মাসে ৭ হাজার ৭১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিহার। কিন্তু রাজ্যের ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর নথি থেকে জানা গিয়েছে, ওই সময়ে বিহারে ৭৫ হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হলেও, তাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ নেই।

সেই নিয়ে চাপানউতরের মধ্যেই শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তাতে বলা হয়, কোভিডে প্রিয়জনকে হারানো সত্ত্বেও হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছেন। কারণ রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিলেও মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিডের উল্লেখ না থাকায়, অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। যদিও ওই জনস্বার্থ মামলায় কোভিডে মৃতদের জন্য মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হলেও, তা দেওয়ার সাধ্য নেই বলে আদালতে কার্যত হাত তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। আর সেখানেই কোভিড নিয়ে যথাযথ দিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

সমালোচনার মুখে পড়ে, ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য নতুন করে কোভিডের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে নতুন করে হিসেব শুরু করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার নতুন করে কোভিডে মৃতদের হিসেব কষতে নির্দেশ দিয়েছে। পটনা হাইকোর্টে তিরস্কৃত হওয়ার পর বিহারের নীতীশ কুমারের সরকারও হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখার ভাবনাচিন্তা করছে। শীর্ষ আদালতও সাফ জানিয়েছে, এই ধরনের গোপনীয়তা জনস্বার্থ বিরোধী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE