প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই দেশের সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক মানুষদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপি এবং এনডিএ সাংসদদের। তাঁর সেই প্রস্তাবকে এ বার স্বাগত জানালেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার তাঁর এই ভাবনায় তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে চিঠি লিখে জানালেন তাঁরা।
সম্মিলিত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ওই চিঠি লেখেন হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ল’কলেজের উপাচার্য ফয়জান মুস্তাফা, মেস্কো গ্রুপের চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন মহম্মদ, জামিয়া উলামা-ই-হিন্দ সংগঠনের সদস্য মাহমুদ মাদানি ও নিয়াজ ফারুখি, শিক্ষাবিদ পিএ ইনামদার, সেন্টার অব হজ কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান কায়সর শামিম এবং দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুখি।
এ ছাড়াও চিঠিতে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি সোহেল সিদ্দিকি, বিচারপতি এসএস পারকর, ওয়ার্ল্ড এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি শবি আহমেদ, সাচার কমিটির প্রাক্তন সদস্য এস জাফল মাহমুদ এবং দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাফরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভাটপাড়া পুরসভা দখল করল বিজেপি, অর্জুনের ভাইপো সৌরভ পুরপ্রধান
চিঠিতে তাঁরা লেখেন, ‘‘দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে না পারলে, আপনার এবং প্রত্যেক দেশপ্রেমীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। ১৮৫৭-য় দেশের স্বাধীনতার জন্য যেমন সব সম্প্রদায়ের মানুষ একজোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, দেশের মানুষের মধ্যে সেই উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে চাইছেন জেনে ভরসা পাচ্ছি আমরা।’’
২০১৪- মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, গত পাঁচ বছরে দেশে দলিত ও সংখ্যালঘু নিগ্রহের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। তা নিয়ে টুঁ শব্দটি না করায়, ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর, সংসদের সেন্ট্রাল হলে সম্পূর্ণ অন্য রূপে দেখা দেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বিজেপি এবং এনডিএ-র নির্বাচিত সাংসদদের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে সমাজের সব স্তরের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান বলে জানান তিনি।
সেন্ট্রাল হলে মোদী বলেন, ‘‘দরিদ্র মানুষের মতোই এতদিন সংখ্যালঘুরা প্রতারিত হয়েছেন। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য তাঁদের মধ্যে কাল্পনিক ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে তাঁদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯-এ আপনারা তাঁদের সেই প্রতারণা থেকে বার করে আনতে পারবেন বলে আমার আশা।’’
আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ, ফাঁসানো হয়েছে, দাবি দলের
চিঠিতে তাঁর সেই মন্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যার কথাগুলো খুব যথাযথ ভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। বিশেষ করে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে গেলে এই দুই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন। তা হলেই আপনার ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন পূরণ হবে।’’ এই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন ওই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy