জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী বন্ড বাতিলের কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত তার নির্দেশে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলির থেকে প্রাপ্ত অনুদানের তথ্য আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এ ব্যাপারে শনিবার জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘‘কমিশন সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে ছিল। আদালতের নির্দেশ সব সময় মেনে চলবে।’’
রাজীবের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আসন্ন লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ও়ড়িশার ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। ওড়িশায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। শনিবার তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনী বন্ড মামলায় একটি পক্ষ ছিল। কমিশন সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে। যখনই আদেশ আসবে, আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’’
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে। আদালতের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বন্ডের বিধি তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করছে। নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি জানান, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এই ধরনের বন্ড দেওয়া বন্ধ করবে।
শীর্ষ আদালত আরও বলেছিল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে কত টাকা অনুদান পায়, সেই তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ওই তথ্য তুলে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে সেই তথ্য কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা ২০২৪ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। সমস্ত রকম প্রস্তুতিই প্রায় শেষের পথে।’’ এখন দেখার কবে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy