ফাইল চিত্র
একুশ শতকের চাহিদা এবং সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা মাথায় রেখেই তৈরি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শনিবার নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর দাবি, নয়া শিক্ষানীতির দৌলতে সমাজের সব স্তরের মানুষই উপকৃত হবেন। অনুষ্ঠানে নয়া শিক্ষানীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নতুন শিক্ষা নীতিতে সমাজের সব স্তরের মানুষই উপকৃত হবেন। এই নীতির ফলে একই সঙ্গে দেশের একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষকে যেন শিক্ষার আওতায় আনা যাবে, তেমনই অন্য দিকে শিক্ষায় উৎকর্ষও বাড়বে।’’
নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া শিক্ষা নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব দেশের শিক্ষামহলের একটা বড় অংশ। ক্ষুব্ধ ছাত্র সংগঠনগুলিও। শিক্ষাবিদ ও ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, মোদীর সরকারের আমলে এমনিতেই শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়েনি। তার উপর নয়া শিক্ষানীতির দৌলতে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে কর্পোরেট বিনিয়োগ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা লাগবে। যদিও এ দিন কোবিন্দ বলেন, ‘‘নয়া শিক্ষা নীতি তৈরির আগে গোটা দেশের ২ লক্ষ মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের একেবারে নিচু স্তরের কী সমস্যা, তা বোঝার চেষ্টা হয়েছে।’’ বর্তমান শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ টেনে ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির দাবি, নতুন নীতিতে বিএড, কারিগরি শিক্ষা এবং দূরশিক্ষার মতো বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পড়াশোনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নতুন শিক্ষা নীতিতে। বরং শিক্ষার মানের ওপরে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের মৌলিক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য, আইআইটি, এনআইটি-র ডিরেক্টরদের সামনে নয়া শিক্ষানীতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতির দাবি, দেশের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির বিপরীতে হেঁটে পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার ওপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে নয়া শিক্ষা নীতিতে। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, কেবল মাত্র ইউজিসি-র মতো সংস্থা তৈরি করেই থেমে না থেকে শিক্ষার মান বাড়ানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy