গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল মঙ্গলবার। কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমপরিমাণ অর্থের স্থাবর সম্পত্তি বুধবার বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি গয়াল পরিবারের লন্ডন এবং দুবাইয়ের বাড়িও বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে। রয়েছে নরেশ, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং ছেলে নিভানের একাধিক কোম্পানির সম্পত্তিও।
মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে মঙ্গলবার নরেশ-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে কানাড়া ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বরে নরেশকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নরেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় নরেশ, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং গৌরাঙ্গ শেট্টি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, জেট এয়ারওয়েজ় (ইন্ডিয়া) লিমিটেডকে (জেআইএল) ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকার যে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল তার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ব্যাঙ্কের আরও অভিযোগ ছিল যে, জেট কর্তৃপক্ষ নিজেদের অডিটে দেখিয়েছিলেন যে, তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থাকে সীমার বাইরে গিয়ে ১৪০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। জেটের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি নরেশ-সহ অন্য অভিযুক্তদের জেরাও করা হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, জেআইএল-এর নমুনা চুক্তিতে উল্লেখ করা রয়েছে যে জেনারেল সেলিং এজেন্ট (জিএসএ)-দের খরচ তাঁদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। তাই জেট কর্তৃপক্ষ জিএসএ-র নামে ৪০৩ কোটি টাকার যে খরচ দেখিয়েছেন, তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর পাশাপাশি নরেশ ব্যক্তিগত খরচেও জেটের টাকা ব্যবহার করেছেন বলে সিবিআই এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়। সেই এফআইআর ভিত্তি করে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সন্ধানে তদন্ত শুরু করে ইডি। এ বছর মে মাসে নরেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে সিবিআই এবং আর্থিক তছরুপের মামলা করা হয়েছিল ইডির তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy