বিরোধীদের চাপের মুখে ফের কেন্দ্রকে ইভিএম যন্ত্রে কিছু সংযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানাল নির্বাচন কমিশন।
পরের লোকসভা নির্বাচনে ‘ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল মেশিন’ (ভিভিপ্যাট)-এর সাহায্যে ভোট করাতে চায় কমিশন। সেই মেশিন কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী। এই নিয়ে ২০১৪-র জুন থেকে মোদী সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোট ১১ বার এই অনুরোধ জানিয়েছে বলে দাবি কমিশনের। গত ২২ মার্চ ওই একই অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি লিখেছেন জৈদী। আসন্ন ভোটগুলিতে ইভিএমের পাশাপাশি ভিভিপ্যাট যন্ত্রও ব্যবহার করতে চায় কমিশন।
কমিশনের দাবি, পরের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ১৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট প্রয়োজন। তার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ৩,১৭৪ কোটি টাকা। আগের চিঠিতে কমিশন জানিয়েছিল, এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভিভিপ্যাট-এর অর্ডার দেওয়া না হলে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি হাতে পাওয়া মুশকিল হবে। সরকারি অর্থ বরাদ্দ করার পর ১৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট তৈরি করতে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির ৩০ মাস সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যে ভোটদাতা নিজেই দেখতে পারবেন তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন। ফলে ভেটে কারচুপির কাজটা সহজ হবে না বলে অনেকের ধারণা।
আরও পড়ুন
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় চারে ভারত! বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা
কত দিনের মধ্যে এই ভিভিপ্যাট যন্ত্র কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, কমিশনের কাছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসের ওই চিঠিতে তা জানিয়েও দিয়েছেন জৈদী। চিঠিতে জৈদী লিখেছেন, কমিশন আগেও মোদী সরকারকে এ ব্যাপারে বহু বার তাগাদা দিয়েছে। গত বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন জৈদী। গত ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী পি পি চৌধুরী রাজ্যসভায় লিখিত ভাবে জানান, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে সরকার।
উত্তরপ্রদেশে শোচনীয় হারের পর ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলেন বিএসপি নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। তাঁর দাবি ছিল, ইভিএমে কারচুপি করেই বিজেপি ওই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। মায়াবতীর সেই অভিযোগের পর ইভিএম নিয়ে একে একে সরব হন বিরোধীরা। আম আদমি পার্টি (আপ) ও কংগ্রেসের সরাসরি অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের দিকে। তাদের দাবি, কমিশনই ইভিএমে কারচুপি করেছে। ব্যালট পেপারের সাহায্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি ১৬টি রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানায়। সেই মামলা থেকে পরে অবশ্য সরে আসে আপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy