মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি ছুটছিল বেপরোয়া গতিতে। সেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়েই প্রাণ গেল দু’জনের। জখম হন আরও বেশ কয়েক জন। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ রাজস্থানের জয়পুরের নাহারগড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। মত্ত ওই চালককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চালকের নাম উসমান। উসমান একটি লোহার কারখানায় কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন ওই ব্যক্তি। অথচ ওই যুবক মত্ত অবস্থাতেও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছোটাচ্ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ এমআই রোডের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সামনে থাকা মানুষ, যানবাহন এবং জিনিসপত্রের সঙ্গে ধাক্কা খেতে খেতেই গাড়িটি দ্রুত গতিতে রাস্তা দিয়ে ছুটছে। এক জন প্রত্যক্ষদর্শী দীপেন্দ্র জানাচ্ছেন, প্রথমে গাড়িটি এক তরুণীকে পিষে দেয়। তার পর ছুটে এসে দীপেন্দ্রের বাইকে ধাক্কা মারে। ওই যুবকের কথায়, ‘‘ভাগ্যে আমি সময়মতো বাইক থেকে নামতে পেরেছিলাম! না হলে আমিও হয়তো...। ওই গাড়ি আমার বাইকটিকে অন্তত ২০ মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।’’ শেষমেশ এক ব্যক্তি স্কুটারে করে তাঁর গাড়ির পিছু ধাওয়া করে গাড়িটিকে থামান। যদিও এর পরেই তড়িঘড়ি গাড়ি থেকে নেমে চম্পট দেন উসমান।
আরও পড়ুন:
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় নাহারগড় থানার পুলিশ। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আট জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এলাকার বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য জানান, আহতদের মধ্যে তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় আরও চেকপোস্ট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেছেন, ‘‘ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক।’’ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত চালক উসমানকে আটক করেছে পুলিশ। কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই কলকাতার উপকণ্ঠে ঠাকুরপুকুর বাজারের জনবহুল রাস্তায় মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয় জনকে ধাক্কা মারেন টলিউডের এক ছোট পর্দার পরিচালক। জখমদের মধ্যে এক জনের পরে মৃত্যু হয়। উত্তেজিত জনতার হাতে প্রহৃতও হন অভিযুক্ত পরিচালক।