তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হল পরিত্যক্ত জমি থেকে। প্রতীকী ছবি।
মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল তরুণীর দেহ। দিনের পর দিন মাটির নীচেই দেহটি পচছিল। এলাকার কুকুরের দল সেই দেহ টেনে বার করে। তার পর খোঁজ মেলে নিখোঁজ তরুণীর।
ঘটনাটি নয়ডার সেক্টর ১৫৫ এলাকার। গত ১৫ মার্চ ওই তরুণীর খোঁজ করতে চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর ভাই। তিনি পুলিশের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তরুণীকে মেরে ফেলা হতে পারে। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছিল। অভিযোগ দায়েরের দিন পনেরো পরে অবশেষে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হল। পুলিশ নয়, মাটি থেকে দেহ টেনে বার করল কুকুরেরা।
মৃত তরুণীর নাম সরিতা (২৬)। সম্প্রতি নয়ডার একটি পরিত্যক্ত জমিতে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহটি মাটিতে পোঁতা অবস্থায় ছিল। ঝড়বৃষ্টির পরেই তার কিছু অংশ বেরিয়ে এসেছে বলে অনুমান। স্থানীয়েরা দেখেন কুকুর একটি মানুষের দেহ খুবলে খাচ্ছে। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।
গ্রেটার নয়ডার পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অশোক কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর ভাই কয়েক দিন আগে থানায় গিয়ে দিদির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন পণের টাকা না পাওয়ার জন্য তাঁর দিদির উপর নিয়মিত অত্যাচার এবং মারধর করা হয়। এমনকি, দিদিকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শ্বশুরবাড়ির মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছিল।
মহিলার দেহ ফরেন্সিক পরীক্ষা এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রমাণ খুঁজছে পুলিশ। তবে মহিলার বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে। বিবাহের সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পর পণের দাবিতে খুনের অভিযোগ প্রযোজ্য হয় না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy